ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালী-ঢাকা নদী পথে রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চলাচল শুরু

প্রকাশিত: ২০:২৬, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

পটুয়াখালী-ঢাকা নদী পথে রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চলাচল শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে রোটেশন পদ্ধতিতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চালাচল শুরু করেছে। প্রতিদিন অন্তত চারটি করে লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও এখন চলছে দুইটি করে। হঠাৎ করে ১ অক্টোবর থেকে এই রোটেশন পদ্ধতি চালু হওয়ায় ফলে প্রতি দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কয়েক হাজার যাত্রী। পটুয়াখালী নদীবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী-ঢাকা নদী পথে মোট নয়টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন নয়টি লঞ্চ ঢাকা থেকে পটুয়াখালী এবং পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে এত দিন চারটি করে এবং একদিন পাঁচটি করে মোট নয়টি লঞ্চ এই নদীপথে চলাচল করে আসছিল। কিন্তু ১ অক্টোবর থেকে পটুয়াখালী-ঢাকা নদী পথে পর্যায়ক্রমে দুটি করে মোট চারটি লঞ্চ চলাচল করতে শুরু করেছে। ফলে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, এমভি সুন্দরবন-৮ ও এ আর খান-১ নামে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চ পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রী তুলছে। সুন্দরবন -৭ লঞ্চে য়াত্রী ধারন ক্ষমতা ৭০৯ জন এবং এর এ আর খান-১ লঞ্চে যাত্রী ধারন ক্ষমতা ৮৫১ জন। রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চলাচল করায় দুটি লঞ্চেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই লঞ্চ দুইটির একাধিক কর্মচারী জানান, যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় লঞ্চ চালাতে গিয়ে মালিকদের লোকসান হচ্ছিল। তাই পটুয়াখালী-ঢাকা নদীপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চের মালিকরা রোটেশন পদ্ধতির মাধ্যমে দুটি করে মোট চারটি লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী নদী বন্দরের দায়িত্বে থাকা পরিবহন পরিদর্শক মাহাতাব উদ্দিন শেখ বলেন, রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। হঠাৎ ১ অক্টোবর থেকে এই ব্যবস্থা। আসলে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দিলে যাত্রী ভোগান্তিতো বাড়বেই। তিনি বলেন, পটুয়াখালী নদী বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। তাই লঞ্চ মালিকরা এখানে চলাচলে উন্নতমানের লঞ্চ দিয়েছে এবং এ কারনে যাত্রীদের সংখ্যাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বিষয়টি আমরা লঞ্চ মালিকদের সংগঠনসহ আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন (যা-প) সংস্থার জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি মো. বদিউজ্জামান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, নদীপথে চলাচলে যাত্রীদের যেন কোন ধরনের অসুবিধা না হয় বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখব।
×