ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রীজ ভাঙ্গার দের বছরেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই

প্রকাশিত: ২২:১১, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

ব্রীজ ভাঙ্গার দের বছরেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসার বাঁশবাড়িয়া খালের একমাত্র ব্রীজটি দের বছরে ধরে ভেঙ্গে পরে আছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকায় পাড় হয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকার মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ আয়রন ব্রীজ নির্মাণ করে। ব্রীজটি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ শেষ করে। ফলে ব্রীজ নির্মাণের ৬ বছরের মাথায় ২০১৬ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ব্রীজের মাঝখানের অংশ ভেঙ্গে পরে। ভাঙ্গার দের বছর পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ ব্রীজ সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি। ওই ব্রীজ দিয়ে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও জেবি সেনের হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন পারাপার হতো। ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় পরে খেয়া নৌকায় প্রতিদিন ওই শিক্ষার্থীরা ও এলাকার মানুষ পারাপার হচ্ছে। ফলে দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে ওই দুটি বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকার হাজার হাজার মানুষের। অনেক অভিভাবক ওই বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আকাশ, আবিল, নিলাঞ্জনা বলেন ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার পরে খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হয়। বিদ্যালয়ের সময়ে খেয়া না পেলে বিদ্যালয় যেতে পারি না। এতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ছাদিয়া ও হান্না বলেন আমাদের কষ্ট বোঝার কেউ নেই। দের বছর হয়ে গেল ব্রীজ ভেঙ্গে পরেছে কেউ ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিদিন খেয়া নৌকার জীবনের ঝুকি নিয়ে পাড়াপাড় হতে হয়। স্থানীয় জাকির মিয়া বলেন খেয়া থাকলে পাড় হয়ে ওইপাড়ে যেতে পারি, নইলে না। দের বছর ধরে ব্রীজ ভেঙ্গে পরে আছে কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আবদুস সোবাহান বলেন ব্রীজ ভেঙ্গে পরার ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে আসতে সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের খেয়া নৌকায় পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। সবসময় খেয়া থাকে না। ফলে বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার পরে অনেক শিক্ষার্থী আমার বিদ্যালয়ে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি আরো বলেন ব্রীজ ভাঙ্গার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে লিখিত আবেদন করেছি তিনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন ব্রীজ সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
×