ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছোট চরিত্র দিয়ে দর্শক মনে দাগ কাটেন রঘুবীর যাদব

প্রকাশিত: ০০:১৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ছোট চরিত্র দিয়ে দর্শক মনে দাগ  কাটেন রঘুবীর যাদব

অনলাইন ডেস্ক ॥ লাইমলাইটের ধার ধারেন না তিনি। হোক সে অভিনয় বা গান, সমস্ত দিকেই সমান পারদর্শী অভিনেতা রঘুবীর যাদব। বিরাট চরিত্রে তাঁকে দেখা না গেলেও, যে সব চরিত্রে রঘুবীর যাদবকে অভিনয় করতে দেখা যায় তা সহজেই দর্শক মনে দাগ কেটে যায়। সম্প্রতি ‘নিউটন’ ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। যে ছবি পরবর্তী অস্কারের জন্য ভারতের প্রথম অফিসিয়াল সিলেকশন। রঘুবীরের অস্কার কানেকশনের শুরুটা মিরা নায়ার পরিচালিত ‘সালাম বম্বে’ দিয়ে। তার ঠিক পরেই শেখর কপূরের ‘ব্যান্ডিট কুইন’। এর পর ‘রুদালি’, ‘১৯৪৭ আর্থ’, ‘লগান’, ‘পিপলি লাইভ’, ‘ওয়াটার’ একের পর এক ছবিতে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো অভিনয় করেছেন রঘুবীর যাদব। আর এই সব ছবিগুলিই ভারত থেকে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। তবে সেসবে বিন্দুমাত্র নজর নেই এই অভিনেতার। নিজের অভিনীত কোন কোন ছবি অস্কারের জন্য মনোনীত তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড অবধি নেই রঘুবীর যাদবের কাছে। “এসব বিষয় নিয়ে কখনও ভেবে দেখিনি। অভিনেতা হিসেবে সেরাটা দেওয়া ছাড়া আর কিছু নিয়েই আমি ভাবিত নই। কোন ছবি অস্কারে গেল কি না গেল তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। ছবি ভাল হলে তা তো প্রশংসা পাবেই”—হাসতে হাসতে বললেন রঘুবীর। শুধু অভিনয় বা গান নয়। ফিল্মের সেটের শিল্প নির্দেশনা থেকে সঙ্গীত পরিচালনা সমস্ত দিকেই সাবলীল রঘুবীর যাদব। ১৯৮৫ সালে ‘মাসে সাহিব’ ছবি দিয়ে সিনেমা জগতে পদার্পণ করেন তিনি। এখনও অবধি ঝুলিতে একটিও জাতীয় পুরস্কার নেই রঘুবীরের। তবে সে শূন্যস্থান পূরণ করে দিয়েছে ঝুড়ি ঝুড়ি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ১৯৮৬ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ক্রিটিক্স পুরস্কার আর ১৯৮৭ সালে আইআইএফআই থেকে সেরা অভিনেতা হিসেবে সিলভার পিকক পুরস্কার। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×