ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীর সড়কে ধান মাড়াই দূর্ঘটনায় আশংঙ্কা

প্রকাশিত: ০২:১২, ১৭ আগস্ট ২০১৭

আমতলীর সড়কে ধান মাড়াই দূর্ঘটনায় আশংঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার সড়ক ও মহাসড়ক দখল করে পুরোদমে আউশ ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছে। কৃষকরা খেত থেকে ধান কেটে সড়কে রেখে মাড়াই কাজ সেরে নিচ্ছে। এতে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বিগ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ধানের অবশিষ্ঠাংশ রাস্তায় পরে থাকায় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, এমনটি আশংঙ্কা করেছেন সড়কে চলাচলরত গাড়ী চালকরা। জানাগেছে, পটুয়াখালী-আমতলী-কলাপাড়া মহাসড়কের শাখারিয়া থেকে বাদ্রা পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এবং আমতলী-তালতলী সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা ১২ কিলোমিটারসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আভ্যন্তরীণ পাঁকা সড়কে কৃষকরা ধান মাড়াই করছে। এ সড়কগুলো দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধীক পরিবহন বাস, ট্রাক, পিকআপ,টেম্পু, অটো রিকসা, মাহেন্দ্র ও মোটর সাইকেল চলাচল করে। এ সড়কগুলোর দুপাশে শতাধিক স্থানে স্থানীয় কৃষকরা খেত থেকে ধান কেটে সড়কে রেখে মাড়াই কাজ করছে। মাড়াই শেষে ধানের অবশিষ্ঠাংশ খরকুটা সড়কে বিছিয়ে রেখে দিচ্ছে। এগুলো পঁচে সড়ক পিচ্ছিল আকার ধারন করছে। এর উপর দিয়ে গাড়ী চলাচল করছে। এতে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংঙ্কা করছে গাড়ী চালকরা। বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে পটুয়াখালী আমতলী-কলাপাড়া মহাসড়কের শাখারিয়া, ব্রীক ফিল্ড, কেওয়াবুনিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, সাহেববাড়ী, আমড়াগাছিয়া, ঘটখালী, ছুরিকাটা, মানিকঝুড়ি, খুড়িয়ার খেয়াঘাট, আকনবাড়ী, ফকিরবাড়ী, খলিয়ান, কল্যাণপুর ,বান্দ্রা এবং মানিকঝুড়ি-তালতলী সড়কের দক্ষিণপশ্চিম আমতলী, আলিশার মোড়, আড়পাঙ্গাশিয়া, মধ্যতারিকাটা ও তারিকাটা নামক স্থানের সড়কের দু’পাশের তিন ভাগের একভাগ সড়ক দখল করে ধান আটি বেঁধে রেখে দিয়েছে। আবার অনেক স্থানে মাড়াই মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই করছে। ধান মাড়াই শেষে ধানের অবশিষ্ঠাংশ খরকুটা সড়কে ফেলে রেখে দিয়েছে। ওই ফেলে রাখা খরকুটার উপর দিয়ে গাড়ী চলাচল করছে। বাস চালক আবদুস সালাম, সানু মিয়া ও মজিবর অভিযোগ করে বলেন সড়কের মোড়ে মোড়ে ধান রাখায় গাড়ী চালাতে সমস্যা হয়। ভাই ভাই বাস মালিক অহিদুজ্জামান সজল মৃধা বলেন সড়ক দখল করে ধান মাড়াই করলে যেমন সড়কের ক্ষতি হয় তেমনি গাড়ী দূর্ঘটনার আশংঙ্কা থাকে। তিনি আরো বলেন অনতিবিলম্বে সড়কে ধান রাখা ও মাড়াই বন্ধের জন্য প্রশাসনের সৃদুষ্টি কামনা করছি। তারিকাটা গ্রামের নাসির চৌকিদার সড়ক দখল করে ধান মাড়াই সম্পর্কে বলেন আমার এ বিষয়টি জানা ছিল না যে, এতে সড়কের ক্ষতি হয়। ছুড়িকাটা গ্রামের কৃষক আফজাল প্যাদা বলেন, বৃষ্টির কারনে এখন সবখানে কাঁদা পানি। তাই বাধ্য হয়ে সড়কে ধান রেখেছি। আকনবাড়ী এলাকার গৃহবধূ আম্বিয়া বেগম বলেন “মোরা ধানের কুডা রাস্তায় না হুগাইলে কি দিয়া রান্না হরমু”। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেমায়েত উদ্দিন বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×