ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়েমেনে ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ কলেরা আক্রান্ত

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৩ জুলাই ২০১৭

ইয়েমেনে ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ কলেরা আক্রান্ত

ইয়েমেনের আধুনিক ইতিহাসে কলেরা ভয়াবহ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি লোক এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে এ মহামারীতে। দেশটি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও রাষ্ট্রের আসন্ন পতনের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম করছে। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের। অক্সফাম শুক্রবার বলেছে, মার্চে শনাক্ত প্রথম এক রোগীকে রেকর্ডভুক্ত করার পর এ মহামারীতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এর আগে ২০১১ সালে হাইতিতে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর বার্ষিক রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ওই রেকর্ডে দেখা যায়, সংক্রমিত লোকের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ১১ জন। অক্সফাম বলেছে, ইয়েমেনে এ মহামারীতে ৬ লাখের বেশি লোক আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দূষিত খাদ্য গ্রহণ ও পানি পানের কারণে এ মারাত্মক ডায়রিয়া সংক্রমণে এর মধ্যেই ২ হাজার লোক মারা গেছে। কলেরা আক্রান্ত বৃদ্ধ ও যুবকরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায় যদি তাদের তরল খাদ্য দেয়া না যায়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিউএইচও) এ মাসের প্রথমদিকে বলেছে, এ পর্যন্ত যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশই শিশু যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। দেশের ২২টি প্রদেশেই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। অক্সফাম বলেছে, কোন কোন অঞ্চলে প্রথমদিকে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও তা হ্রাস পাচ্ছে। আবার কোন এলাকায় মহামারী এখনও দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং বর্ষার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অক্সফামের হিউম্যানিটেরিয়ান ডিরেক্টর নিল টিমিস দেশটিতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন থেকে ফিরে এক বিবৃতিতে বলেন, এ ব্যাপক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যাপক সাড়া পাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারী দাতাদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত যে অর্থায়ন হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। কলেরা যথাযথ পয়ঃব্যবস্থা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই চিকিৎসাযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য এক মহামারী রোগ। কিন্তু দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য, পানি ও পয়ঃব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। আলোচনায় রাজি কাতারের আমির কাতারের আমির শক্তিশালী চার আরব প্রতিবেশীদের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। সঙ্কট শুরু হওয়ার পর শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া প্রথম ভাষণে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, যে কোন সমাধানই কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ হতে হবে। খবর বিবিসি অনলাইনের। গত জুনে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়া ও ইরানের সঙ্গে মিত্রতার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিসর। কিছুদিন পর তারা কাতারের কাছে কিছু দাবিও উত্থাপন করে। সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছে কাতার। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে কাতারের আমির তার দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের প্রচারণা চালানোর নিন্দা জানান এবং জনগণের সহ্যশক্তির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, কাতারের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবেই চলছে। তবে তিনি আরও বলেন, সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের দ্বন্দ্ব থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার সময় এসেছে। উষ্ণতম মাস ছিল জুন এ বছরের জুন মাস ছিল গত তিন বছরের জুন মাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ মাস। গরম যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসের সম্ভাবনা সামান্যই বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গার্ডিয়ান। ২০১৫, ২০১৬ ও এ বছর জুনের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর জুন ছিল সবচেয়ে উষ্ণ মাস। বিজ্ঞানীরা বলছেন বিগত ১ লাখ ১৫ হাজার বছরের মধ্যে তাপমাত্রা এভাবে বাড়েনি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ বা এমন কি ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখা যাবে, অনেক বিজ্ঞানী এখন এমন আশা আর করছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক এ্যান্ড এ্যাটমস্ফেরিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৫, ২০১৬ সালের জুনের তুলনায় ও ২০১৭ সালের জুনের তাপমাত্রা বেশি ছিল। এতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের জুনের তাপমাত্রা বিশ শতকের জুনের গড় তাপমাত্রার তুলনায় ০.৮২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি ছিল।
×