ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে এনবিআর

প্রকাশিত: ০০:১৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত চলতি অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ সময়ে গেল অর্থবছর থেকে পাঁচ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও মূল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেশ পিছিয়ে আছে সংস্থাটি। এ অবস্থায়, বড় ঘাটতি থাকায় চলতি অর্থ বছরেও ১৮ হাজার টাকা কমিয়ে এনবিআরকে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে জাতীয় সম্পদ কমিটি। এনবিআরের দাবি, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবতার নিরিখে লক্ষ্যমাত্রা পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় এ সময়ে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ১৪ শতাংশ। এরপরেও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এনবিআরকে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়। অর্থনীতিবিদরা এই লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাভিলাসী বললেও, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, এটি আদায়ের সক্ষমতা এনবিআরের আছে। বাস্তবতা হলো, মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১১ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে আছে এনবিআর। তাই বিগত তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো কমানো হয়েছে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা। তবে কর্মকর্তাদের দাবি, বাজেটে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য ছিল না। এনবিআর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও অন্যান্য বাস্তবতা সবকিছু মিলিয়েই বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।’ তবে, শেষ তিন মাসে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাওয়ার আশা এনবিআরের। এ প্রসঙ্গে এনবিআর এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘শেষ কোয়ার্টারে আয়কর, ভ্যাট সংগ্রহে আমাদের কর্মকান্ডগুলো চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। আধুনিক নীতিমালা অনুযায়ী যারা ভালো কাজ করছেন তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।’ এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের মতে, প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারা বজায় থাকলে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে না। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে করের আওতা বাড়ানো ও কর ফাঁকি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যানের।
×