ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৪ মার্চ ২০১৭

উবাচ

বিশ্বাস করি না স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক সময় দুষ্টু পিতার বাবারা সন্তান যতই অপকর্ম করুক না কেন বলতেন, যান বিশ্বাস করি না। আমার ছেলে ওমন কাজ করতেই পারে না। এখন পিতাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। অন্তত জঙ্গীদের পিতারা বলছেন, তারা এই সন্তানের লাশ নিতে চান না। লজ্জায়- ঘৃণায় তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) লাগাতার বলতে শুরু করেছে, দেশে জঙ্গীবাদ নেই। জঙ্গীবাদের ধুয়া তুলে সরকার বিএনপিকে ঠেকিয়ে রাখতে চায়। বিএনপির নীতিনির্ধারক মহলের সকলেই বলছেন এই জঙ্গী ভুয়া। তাদের সময় যখন বাংলাভাই আবিষ্কার হলো তখন এরাই বলেছিল, বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি। সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন জঙ্গীবাদের ঘটনাগুলো ‘বিশ্বাসযোগ্য’ নয়। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদের যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তার কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। যখনই সরকার কোন সমস্যায় পড়ে তখনই জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে ধাবিত করার জন্য এই জঙ্গীবাদকে ব্যবহার করছে। অন্যায়ভাবে, গায়ের জোরে টিকে থাকার জন্য জঙ্গীবাদকে ব্যবহার করছে অভিযোগ এনে সরকারই জঙ্গীবাদ তৈরি করেছে বলে দাবি মোশাররফের। জঙ্গীবাদ তাদেরই সৃষ্টি, তাদেরই নির্দেশে এই জঙ্গীবাদ এখানে প্রচার হচ্ছে। আর বিদেশে গিয়ে তারা (সরকার) বলতে পারছে, জঙ্গী দৃষ্টি করে তা দমনের নামে একটা নাটক করে দেখাতে পারছে যে, আমাদের ক্ষমতায় থাকা দরকার; আমরা থাকলে জঙ্গীবাদকে নির্মূল করব, জঙ্গীবাদকে আমরা মোকাবেলা করছি। জঙ্গীবাদ এই সরকারের সৃষ্ট বলে পত্র-পত্রিকার খবর থেকে আমরা বুঝতে পারি। ওদের ওত দরদ ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির সকল নেতাই বলছেন জঙ্গীবাদ সরকারের সৃষ্টি। শুধু বিএনপিকে ঠেকাতেই নাকি এই জঙ্গীপনার প্রচার হচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন থেকে শুরু করে রিজভী-দুদুরা সব জঙ্গীদের পক্ষ নিচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রমাণ করে তাদের সঙ্গে জঙ্গী সম্পর্ক আছে। দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, একটি দেশে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হয়। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বে যে উস্কানিমূলক বক্তব্য তা দুঃখজনক। তাদের দায়িত্ববান নেতারা যা বলেন এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হতে পারে না। জঙ্গীদের জন্য তাদের দরদ উথলে পড়ছে। নাসিম বলেন, জঙ্গীবাদ আবার দেখা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকায় তারা জঙ্গীদের ধরে ফেলছে। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো বিভিন্ন দেশে হয়, আমাদের দেশেও হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতেও ১৪ দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গী উত্থান ও তৎতপরতা বন্ধ করতে চায়। কাউয়া ঢুকছে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলের মধ্যেই সুবিধাবাদীদের নিয়ে বিব্রত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রথম মুখ খুলে ছিলেন উপকমিটির সহসম্পাদকদের নিয়ে। মূল কমিটিতে জায়গা হয় না এমন অনেকে উপকমিটিতে আশ্রয় নেয়। ওবায়দুল কাদের প্রথম মুখ খোলেন এদের নিয়ে। তিনি ধানম-ি এলাকার নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন হাঁটতে-চলতে গেলে নাকি এদের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এই তো সেদিনও একবার দলের স্বীকৃত অঙ্গসংগঠনের নেতাদেরও একহাত নিলেন। তিনি সেদিনই বললেন, ‘কৃষক লীগের গুলশান শাখার কি দরকার, ধানম-ি শাখার কি দরকার! ধানম-িতে যে ধান চাষ হয় তা তো আমি জানি না!’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কি দরকার? শ্রমিক লীগের বিদেশে কি দরকার? সৌদি আরব শাখার কি দরকার? কৃষক লীগের কাতার শাখার কি দরকার? তাঁতী লীগ নাম দেখলাম কুয়েত না কাতারে। তার আবার দুই কমিটি! আবার সিলেটে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তো বললেন, এরা নাকি কাক। কাদের বলেন, দেশ এখন লীগে ভরে গেছে, প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ। সংগঠনে এখন কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে। পেশাহীন পেশিজীবী আমাদের দরকার নেই। ঘরের ভেতর ঘর বানানো চলবে না। মশারির ভেতর মশারি টানানো চলবে না।
×