ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা জড়িত

পটিয়ায় উজাড় হচ্ছে বন

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পটিয়ায় উজাড় হচ্ছে বন

বিকাশ চৌধুরী, পটিয়া, ৪ ফেব্রুয়ারি ॥ চট্টগ্রামের পটিয়া-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তে প্রাকৃতিক বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব চলছে। পটিয়া সীমান্তের রাঙ্গুনিয়া এলাকার একটি সিন্ডিকেট গত সপ্তাহে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রাকৃতিক বৃক্ষ কেটে নিয়েছে। ওই এলাকার কমলাছড়ি বন বিটের কাছে রাতে বৃক্ষ নিধন চললেও বন কর্মকর্তারা অজানা কারণে নীরব ছিলেন। দীর্ঘদিনের অভিযোগ, স্থানীয় কিছু চোরাই কাঠ ব্যবসায়ী ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রাকৃতিক বৃক্ষ কেটে বন উজার করছে। মাঝে মধ্যে কোস্ট গার্ড, বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা কিংবা বিজিবি চোরাই কাঠ জব্দ করলেও থেমে থাকেনি বৃক্ষ নিধনের এই মহোৎসব। কানন বাজার, গোড়ন, শিলোকসহ আশপাশের বেশকিছু এলাকায় বিপুল চোরাই কাঠ মজুদ রয়েছে বলে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তের গহীন পাহাড়ের কমলাছড়ি, কালিছড়ি, দুধপুকুরিয়া এলাকায় চলছে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আলমগীর, মোঃ আবু, বুধু, মোঃ কালো ও মোঃ জসিম ও অত্যুই প্রু মারমাসহ একটি সিন্ডিকেট সরকারী পাহাড়ের প্রাকৃতিক বৃক্ষ চাম্পা ফুল গাছ, কুনাক, ধারমড়া, ভওড়া, ভাদি, পিডলী, গর্জন, আম গাছ কেটে সড়ক ও নৌপথে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছে। কমলাছড়ি বন বিটের ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যারা প্রাকৃতিক বৃক্ষ কাটছে তারা আমাকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের একজন জানিয়েছেন, চোরাই কাঠ পাচারকারীরা প্রতি লাকড়ির গাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা, গোল গাছের গাড়ি থেকে ২ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট বন বিট অফিসকে দিয়ে থাকে। কাঠ পাচারকারীরা কমলাছড়ি বিট ছাড়াও দুধপুকুরিয়া বিট ও শুক বিলাস বিটের ইনচার্জকে ম্যানেজ করেই প্রাকৃতিক গাছ কাটছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক আবদুল লতিফ মিঞা জনকণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নওগাঁয় জমি দখল করে বাঁধ নির্মাণ ॥ ৪ জনকে শোকজ নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৪ ফেব্রুয়ারি ॥ ছোট যমুনা নদীর ডান তীরে অন্যের জমি জবরদখল করে শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করায় নওগাঁ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে বাদীর নিষেধাজ্ঞার আবেদনের শুনানি অন্তে মামলার বিবাদীদের কারণ দর্শানোর আদেশ হয়েছে। মামলার বিবাদীরা হলেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দেওয়ান শিষান আহম্মেদ। জমির মালিককে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ না দিয়ে এক রকম জবরদখল করে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে। এমন অভিযোগে শহরের ডাবপট্টি মহল্লার ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক গীতেশ সাহা বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে নওগাঁ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী জানান, জনস্বার্থে বাঁধ নির্মাণে তার কোন আপত্তি নেই। তবে তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় ৩ শতক জমি কোন প্রকার অধিগ্রহণ না করে তড়িঘড়ি করে ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। যা তার বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েও কোন সুফল মেলেনি। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নদী তীরবর্তী ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নদীতে ভেঙ্গে গেলে তা সরকারের খাস খতিয়ানে যুক্ত হয়। বগুড়ায় কনফেকশনারি মালিকদের ধর্মঘট স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়া ব্রেড-বিস্কুট এ্যান্ড কনফেকশনারি মালিক সমিতি ধর্মঘট শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বগুড়া বেকারি এ্যান্ড কনফেকশনারি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন ২টি কারখানায় ধর্মঘট ডাকা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে মালিক সমিতি পাল্টা ধর্মঘটের ডাক দেয়। এতে বগুড়া শহর ও আশপাশের এলাকার সকল বেকারি-কনফেকশনারির দোকান ও কারখানা সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। মালিক সমিতি এই কর্মসূচীকে লক আউট হিসাবে উল্লেখ করেছে। মালিক সমিতির কর্মসূচী ঘোষণায় প্রায় ২শ’ বেকারি ও কনফেকশনারি কারখানাসহ দোকান বন্ধ রয়েছে।
×