স্টাফ রিপোার্টার ॥ মাদ্রাসাছাত্র নয়ন আলীকে অপহরণের পর থেকেই মুক্তিপণ আদায়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করে অপহরণকারীরা। কিন্তু অপহৃতদের উদ্ধার করে তাদের অপচেষ্টা ও পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছে র্যাব-৪। অপহরণের আট দিন পর নয়ন আলীকে (১৪) উদ্ধারের সময় আটক করা হয় ৫ জনকে। বুধবার রাতে সাভারের তেঁতুল ঝোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো-অপহরণের মূলহোতা নোমান হোসেন জামিল (১৯) ও তার সহযোগী সেলিম (১৮), সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম (২০), সাকিব হোসেন (১৮) এবং রাজীব হোসেন পলাশ (২৪)। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর র্যাব জানতে পারে- অপহরণের আগে-পরের সব অজানা কাহিনী। চাঞ্চল্যকর এ অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছে ওই মাদ্রাসার বড় হুজুরের ছেলে জামিল।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ অধিনায়ক লুৎফর কবির জানান, নয়ন যে মাদ্রাসায় পড়ে, সেই মাদ্রাসার বড় হুজুরের ছেলে জামিল। ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নয়নকে সিএনজিতে তুলে হেমায়েতপুরের একটি বাসায় নিয়ে আসে অপহরণকারীরা। এরপর হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। পরে নয়নের কাছ থেকে তার বাবা-মায়ের নম্বর নিয়ে প্রথমে মাকে ফোন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা ঝোগাড় করতে কয়েকদিন সময় চান নয়নের মা। পরে সাভার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি র্যাবÑ৪ এর অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান শুরু করে। অপহরণের আট দিন পর সাভার থানাধীন ভরালী বটতলা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
অপহরণের ৮ দিন পর মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ৫
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: