স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ রাজধানী ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে জেনে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সংসদে কক্সবাজারে রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হকের বক্তব্য ও এ ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনার কথা শুনে সৈকত রানী কক্সবাজারবাসীর মনে আনন্দের শেষ নেই। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা শুক্রবার স্থানীয় বহু মসজিদে মিষ্টি পাঠান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদেই ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। সর্ব শেষ বৃহস্পতিবার সরকারী দলের এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক সংসদে বলেছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল মিটারগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প গত ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদিত হয়।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজার টু ঢাকা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সময় দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজের স্থলে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প চীন সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও মন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন।
সূত্র মতে, তুরস্ক থেকে শুরু করে পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গৃহীত ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এতে বাংলাদেশ হবে গেটওয়ে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। ২৭ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। তখন পর্যটন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পর্যটন শহর কক্সবাজারে দেশী-বিদেশী পর্যটক আগমনও বৃদ্ধি পাবে। সব সময় চাঙ্গাভাব থাকবে সৈকত এলাকা।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক বলেন, এ প্রকল্পভুক্ত জমি অধিগ্রহণ বাবদ তিনশ’ ১২ কোটি টাকার মতো পরিশোধ করা হয়েছে। অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজও এগিয়ে চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণায় কক্সবাজারে আনন্দ ॥ মিষ্টি বিত
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: