ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কীর্তিতে তাঁর নিত্য উপস্থিতি

ওবায়দুল কবির

প্রকাশিত: ০০:০৭, ২২ মার্চ ২০২৪

কীর্তিতে তাঁর নিত্য উপস্থিতি

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদে

মানুষের মৃত্যু দুই ধরনের। কেউ চলে যান চিরতরে, হারিয়ে যান মানুষের হৃদয় থেকে।  কেউ আবার চিরদিন বেঁচে থাকেন তাঁর কর্মের মধ্যে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের মৃত্যু হলেও তিনি চলে যাননি। তিনি চলে যাবেন না কখনো, বেঁচে আছেন তাঁর কর্মে। মহান মুক্তিযুদ্ধ, গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবার, দৈনিক জনকণ্ঠ, রাষ্ট্র-সমাজ নিয়ে ভাবনা তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে, বাঁচিয়ে রাখবে। গড়িয়ে যাবে সময়। সপ্তাহ পেরিয়ে মাস, বছর, যুগ, শতাব্দী। তাঁর কর্ম বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে।

২০০৪ সালের একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা আজো মনে হলে গা শিউরে উঠে। জামায়াত-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল দৈনিক জনকণ্ঠ। হামলা, মামলা এবং ভয়ভীতিতেও পত্রিকাটিকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছিল না সত্য প্রকাশে আপোসহীন ভূমিকায়। প্রমাদ গুনল জামায়াত-জঙ্গি গোষ্ঠী। উদ্যত হলো প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব চিরদিনের মত নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার। জনকণ্ঠ ভবনের নিচে স্যুটকেসে রেখে গেল শক্তিশালী বোমা।

আমরা তখন অফিসেই ছিলাম। স্যুটকেসে কি রয়েছে বোঝা যাচ্ছিল না। সাহসী সম্পাদক নিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন। তাঁর মনে হলো এর মধ্যে বিস্ফোরক কিছু রয়েছে। দ্রুত সংবাদ দেয়া হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। সেনা বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয় করার বিশেষ টিম পাঠানো হলো। তারা দ্রুত এটি সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ স্থানে বিস্ফোরণ ঘটালেন। বিশেষজ্ঞ দলের নেতা বলেছিলেন, এটি বিস্ফোরিত হলে গোটা জনকণ্ঠ ভবন উড়ে যেতে পারত। সৃষ্টি কর্তার বিশেষ রহমতে রক্ষা পেল জনকণ্ঠ ভবন এবং এর মধ্যে অবস্থানকারী শত শত সাংবাদিক-কর্মচারী।
এই ঘটনায় অনেকেই জনকণ্ঠ ভবনে এসেছিলেন সমবেদনা জানাতে। রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শ্রেণিপেশার প্রতিনিধি, পাঠক এবং সাধারণ মানুষ। অনেকে অনেক মন্তব্য করেছিলেন। এর মধ্যে দেশের তৎকালীন স্বনামধন্য আইনজীবী, আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সুধাংশু শেখর হালদার এমপির একটি মন্তব্য আজো আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জনকণ্ঠ ভবন।

স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গি-জামায়াতের টার্গেট তাই এই ভবন। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল শক্তির উচিত এই ভবন রক্ষা করা।’ কথাটি তিনি বলেছিলেন পত্রিকার সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সামনে। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন সুধাংশুদাকে। এমন সংকটেও মাথা উঁচু হয়ে গিয়েছিল, বুক ফুলে উঠেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদকের। তিনি মুখে কিছু বলেননি, হয়তো মনে মনে ভেবেছিলেন, ‘লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি আমি, চেষ্টা সার্থক হয়েছে আমার।’
তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ব্যবসায় মন দেন। সৎ চেষ্টা এবং একাগ্রতায় সাফল্যও আসে। এর পরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যুদ্ধ করে স্বাধীন করা প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করার। অনেক চিন্তা ভাবনার পর তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ একটি প্রগতিশীল পত্রিকা বের করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরু হয় একটি সর্বাধুনিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞ। এই কর্মবীর মুক্তিযোদ্ধা সব সময় সেরাটাই করার চেষ্টা করেছেন। এক সময় ‘গ্লোব’ ছিল মশার কয়েলের সেরা ব্র্যান্ড।

মানুষ দোকানে গিয়ে বলত, ‘আমাকে একটি গ্লোব দেন।’ এই দেশে হাউজিং ব্যবসায় তিনি অন্যদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কম মুনাফার নীতিতে উচ্চবিত্তের ফ্ল্যাট নিয়ে এসেছিলেন মধ্যবিত্তের নাগালে। রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় তাঁর প্রচেষ্টা পুরোপুরি সফল না হলেও তিনিই ছিলেন মধ্যবিত্তের জন্য ফ্ল্যাট নিশ্চিতের পথিকৃৎ। বর্তমানে জনপ্রিয় আয়োডিনযুক্ত রিফাইন্ড সাদা লবণ তিনিই প্রথম দেশে উৎপাদন শুরু করেছিলেন। আগে এই লবণ বিদেশ থেকে আমদানি হতো।

উচ্চবিত্ত ছাড়া সাদা রিফাইন্ড লবণ কিনার সাধ্য ছিল না মধ্যবিত্তের। ‘গ্লোব’ ব্র্যান্ডের রিফাইন্ড সাদা লবণ এই দেশে প্রথম মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। একইভাবে তিনি সাধারণ মানুষের নাগালে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গ্লোব মেটাল, গ্লোব ক্যাবল, গ্লোব খামার, গ্লোব মশলাসহ আরও অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় খুব বেশি এগোতে পারেননি। দৈনিক জনকণ্ঠও ছিল সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর সেরা পত্রিকা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ। সাফল্যের সঙ্গেই তিনি তা করেছিলেন।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের পাঁচ জায়গা থেকে পত্রিকা প্রকাশের চ্যালেঞ্জ তিনি গ্রহণ করেছিলেন দুঃসাহসের সঙ্গে। অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগে ভোরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জাতীয় পত্রিকা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। এক মলাটে সাংবাদিকতা-শিল্প-সাহিত্যসহ পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার সব পরিবেশন করে জনকণ্ঠ দ্রুত জয় করে নিয়েছিলেন পাঠকের হৃদয়।

নানা আনুষ্ঠানিকতায় মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও দৈনিক জনকণ্ঠ নিয়ে লেখালেখিতে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের লেখা ও বক্তব্যে এইসব সাফল্যের কথা উঠে এসেছে বারবার। উঠে এসেছে দেশের রাজনীতি, সমাজ এবং অর্থনীতিতে জনকণ্ঠের অবদান। আমি একটু ভিন্ন দিকে আলোকপাত করতে চাই। ব্যক্তিগতভাবে আমার ৩২ বছর কর্মজীবনের সবটাই কেটেছে জনকণ্ঠে। আতিকউল্লাহ খান মাসুদ প্রয়াত হয়েছেন তিন বছর আগে। একজন মানুষ সম্পর্কে জানতে ২৯ বছর খুব একটা কম সময় নয়।

জনকণ্ঠ এবং ব্যক্তি আতিকউল্লাহ খান মাসুদের জীবনের ভালোমন্দ, সংকট, সুসময় খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছি। জানতে পেরেছি তাঁর মনমানসিকতা, লক্ষ্য-আদর্শ, রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে ভাবনা। তিনি মন থেকে ভালো বাসতেন এই দেশ এবং দেশের মানুষকে। তিনি যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প করতেন, এক ধরনের প্রশান্তি তাঁর চেহারায় ফুটে উঠত। রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে আলোচনার সময় আক্ষেপ-হতাশার কথা বলতেন প্রায় সময়। দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামের পর একটি সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন দেশটি কেমন হওয়ার কথা ছিল, কেমন হলো, এ নিয়ে ছিল তাঁর আক্ষেপ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কেমন দেশ চেয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর দেশের পরিণতি কি হয়েছিল এগুলো নিয়ে হতাশার কথা বলতেন। রাষ্ট্র ও সমাজকে এই দৈন্য থেকে উদ্ধার এবং দেশের সাধারণ মানুষকে স্বাধীন দেশে বসবাসের প্রকৃত স্বাদ উপলব্ধি করার সুযোগ সৃষ্টি ছিল তাঁর সমগ্র চিন্তাচেতনায়। তিনি উত্তোলন করার চেষ্টা করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পতাকা। সমাজের কুপ্রথা, কুসংস্কার এবং অন্ধকার দূর করার পাশাপাশি নাগরিক দুর্ভোগ দূর করার সংগ্রামে তিনি লীপ্ত হয়েছিলেন তাঁর সৃষ্ট জনকণ্ঠ পত্রিকার মাধ্যমে।
সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি রাষ্ট্র ও সমাজের সংকট উত্তরণে নানা পথের কথা ভাবতেন। মাঝে মধ্যেই ‘পর্যবেক্ষক’ কিংবা ‘সাধু সাবধান’ কলামে উঠে আসত তাঁর এই ভাবনার কথা। তিনি পরামর্শ দিতেন, সাবধাণ করতেন সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। অনেক সময় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকে টেলিফোনে কিংবা সাক্ষাৎ করে নানা সমস্যার সমাধানের পথ বাতলে দিতেন। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা বলতে চাই।

একদিন আমাকে ডাকলেন তাঁর অফিস কক্ষে। সামনে সাদা কাগজে পেন্সিল দিয়ে কি যেন এঁকে রেখেছেন। প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে বুঝলাম রাজধানীর ট্রাফিক জ্যাম নিরসন নিয়ে তিনি পথ খুঁজে পেয়েছেন। তাঁর এই চিন্তার একটি সচিত্র উপস্থাপনা তিনি আমাকে দেখালেন। ফর্মুলাটি আমার কাছেও বেশ বাস্তব বলে মনে হলো। আমাকে বললেন, ‘পত্রিকায় লিখার চেয়ে বিষয়টি আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখাতে চাই। তিনি উদ্যোগ নিলে রাজধানীর একটি বড় সমস্যার সমাধান হবে। তুমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সাক্ষাতের ব্যবস্থা কর।’ সাক্ষাতের সময় যেন রাজধানীর ট্রাফিক বিভাগের প্রধান উপস্থিত থাকেন, সেটিও নিশ্চিত করতে বললেন। 
তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ব্যক্তিগতভাবে আমার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমি সম্পাদকের ইচ্ছের কথা মন্ত্রীকে বললাম। তিনি সময় দিলেন। আমি সম্পাদকের সঙ্গে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে গেলাম। ওখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন রাজধানীর ট্রাফিক বিভাগের প্রধান (ডিসি ট্রাফিক)। আজ আর এই পুলিশ কর্মকর্তার নামটি মনে নেই। সেই সময় তিনি ছিলেন খুবই প্রযুক্তি বান্ধব কর্মকর্তা। ঢাকা পশ্চিমের ডিসিপি থাকার সময় তিনি থানায় থানায় অপরাধীদের ডিজিটাল বায়োগ্রাফিসহ সংরক্ষণের প্রথা চালু করেছিলেন।

পরবর্তী সময় তার পদ্ধতি অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর হয়েছিল। ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণে আতিকউল্লাহ খান মাসুদের ধারণাটি মন্ত্রী এবং ডিসি ট্রাফিকের বেশ পছন্দ হয়। এটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশ দেন। বৈঠকের ফলোআপ হিসাবে ডিসি ট্রাফিক একাধিকবার জনকণ্ঠ ভবনে এসে সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তখন সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।

দীর্ঘদিন পর ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এই ধারণাই বাস্তবায়ন করেছিলেন। ব্যস্ত সড়কগুলোতে একটি ইউলুপ এবং কয়েকটি ইউটার্ন নির্মাণ করে তিনি যানজট সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলেন। এটিই ছিল আতিকউল্লাহ খান মাসুদের ধারণা। কম খরচে কার্যকর একটি উদ্যোগ। এ ধরনের আরও কিছু প্রকল্প তখনো বাস্তবায়নাধীন ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর সেগুলো আর বাস্তাবায়ন হয়নি। এমন একটি আধুনিক কার্যকর পদ্ধতিতে কার স্বার্থে আঘাত লেগেছিল জানি না, পরবর্তী মেয়রের সময় অদৃশ্য স্বার্থহানির কারণে বেশ কয়েকটি ইউটার্ন বাতিল করে দেওয়া হয়। এমন আরও অনেক রাষ্ট্র ও সমাজ ভাবনা তাঁর ছিল।
আতিকউল্লাহ খান মাসুদ তাঁর অনেক ভাবনার বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন, আবার অনেকটা বাস্তবায়িত হয়নি। আজকে আধুনিক সংবাদপত্রের ভাবনা, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির উত্থান, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, অশিক্ষা-কুশিক্ষার এবং কুসংস্কার থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়ার কর্মযজ্ঞে আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এবং তাঁর পত্রিকা দৈনিক জনকণ্ঠের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। স্বয়ং সরকার প্রধান নিজে একাধিকবার রাষ্ট্র ও সমাজে তাঁর এই অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন।

রাষ্ট্র ও সমাজ সংস্কারে এই ভূমিকার কারণেই তিনি বাংলাদেশে, বাঙালি সমাজে বেঁচে থাকবেন চিরদিন। আজ ২২ মার্চ সেই শোকাবহ দিন। এইদিন সকলের প্রতি চলমান দায়িত্ব সংক্ষিপ্ত করে তিনি চলে গিয়েছিলেন পরপারে। অবসান হয়েছিল একটি যুগের। অবসান হয়নি তাঁর কর্মযজ্ঞের। আজকের দিনে পরম করুণাময়ের কাছে এই বীরাত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, জনকণ্ঠ

×