স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারেন্ট জাল বলতে কিছু নেই। মনোফিলামেন্ট সিনথেটিক নাইলন ফাইবারের প্রস্তুত সকল সাইজের জালকে অযৌক্তিকভাবে ‘কারেন্ট জাল’ বলে আখ্যয়িত করা হয়েছে। এমন দাবিই জানিয়েছে মৎস্য উপকরণ প্রস্তুতকারক মালিকরা। দেশীয় শিল্প বিকাশ ও দুই লাখ শ্রমিক, এক কোটির অধিক জেলের স্বার্থে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশমালার ভিত্তিতে ‘মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ২০০২’ সংশোধন করে ৬.৫ সেন্টিমিটার বা তার চেয়ে ছোট ফাঁসের জালকে কারেন্ট জাল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতেও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তারা। একই সঙ্গে ৬.৫ সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় ফাঁস বিশিষ্ট মনোফিলামেন্ট সুতার জাল প্রস্তুত, বেচাকেনা, মজুদ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনরূপ বিঘœ সৃষ্টি না করে তার জন্য যথোপযোগী মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন পাস করার জন্যও সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ২০০২ সংশোধন করে ‘কারেন্ট জাল’-এর সংজ্ঞা পরিবর্তনের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মৎস্য উপকরণ প্রস্তুতকারক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিয়াজ মাহমুদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, মাছ ধরার জালের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে জালের ফাঁস। আমরা ৬.৫ সেন্টিমিটার বা তার চেয়ে ছোট ফাঁসের জালকে কারেন্ট জাল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, চীন, থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপে মনোফিলামেন্ট দ্বারা প্রস্তুতকৃত জাল ব্যবহার হচ্ছে। মূলত অজ্ঞতার কারণেই মনোফিলামেন্ট দ্বারা তৈরি সব ধরনের জালকে ‘কারেন্ট জাল’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালে আইন প্রণয়ন করে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত ও ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা ব্যবহৃত মনোফিলামেন্ট সুতার জালকে কারেন্ট জাল নাম দিয়ে এর উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়। তাঁরা দাবি করেন, ফিশিংনেট ইন্ডাস্ট্রিজগুলো বাধাহীনভাবে পরিচালনা করতে পারলে মনোফিলামেন্ট সুতার জাল দেশের চাহিদা পূরণ করে পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, চীন ও ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশে রফতানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। অন্যদিকে দেশের উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হলে চোরাকারবারীদের মাধ্যমে মনোফিলামেন্ট সুতার জাল প্রবেশ করবে এবং এতে চোরাকারবারীরাই লাভবান হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য উপকরণ প্রস্তুতকারক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ-সভাপতি হাজী হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সী আবুল কালাম, আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মোর্শেদ আলম স্বপন, সমিতির সদস্য মোঃ মোক্তার হোসেন আনোয়ার হোসেন ও হাজী গোলাম প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: