ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আগে অনুমোদন নিতে হবে

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আগে অনুমোদন নিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার আগে অনুমোদন নিতে হবে- এমন আইনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ আইন করা হচ্ছে। যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা রোধ করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মন্ত্রী একই সঙ্গে বলেছেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হবে। সোমবার শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের একটি অংশের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। ইরাবের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোরাদ হোসেন মোল্লা, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আবুল কাশেম, ইরাব সভাপতি মোসতাক আহমেদ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যখন এমপিওভুক্তি করছি তখন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিচ্ছেন, এখন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করলে অনুমোদন নিয়ে স্থাপন করতে হবে। অনেকে যত্রতত্র যে কোন ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ফেলেন। নানানভাবে চাপ প্রয়োগ করে অনুমোদন নিয়ে থাকেন। কেউ এমপিওভুক্তি চাইবে না এ শর্ত থেকে অনুমোদন দেয়া হলেও সকলেই এমপিও চায়। সরকারের আর্থিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু তারপরও যদি প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে থাকে তবে সরকারের একোমোডেট করার সাধ্য কতটুকু আছে সেটাও বুঝতে হবে। মন্ত্রী বলেন, কারিগরির প্রসারে প্রয়োজন মান উন্নয়ন। আমাদের দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। সেই নিয়োগ দেয়ার বড় উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মানসম্মত ল্যাব, ইক্যুইপমেন্ট এগুলো থাকতে হবে, তবে শিল্প প্রতিষ্ঠানের একাডেমির লিংক খুব জরুরী। মন্ত্রী বলেন, কারিগরি ডিপ্লোমা কোর্স নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। কিন্তু আমাদের মডিউলার শিক্ষাতে যেতেই হবে। কারণ আজকে একটা ডিগ্রী করে কাজে যাব এরপর বারবার ডিগ্রী করতে আসার সুযোগ নেই। কাজেই ডিগ্রীর কোর্সটাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মডিউল করতে হবে। যার যে মডিউল প্রয়োজন সেটাতে সে শিক্ষার্থী হবে। শিক্ষামন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কারিগরির অনেক সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নাকি বলেন, তারা শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করছেন। আমি জানতে চাই তারা কোন্্ শিক্ষক। আর কারিগরির শিক্ষকরা এটা কী করে বলেন? কারণ কারিগরির কোন শিক্ষার্থী বেকার থাকছে? তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। যারা অন্যান্য শিক্ষায় আছে সনদধারী হয়েও তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। আমাদের এদিকেও মনোযোগ দিতে হবে। সকলকে চাকরি খুঁজলে হবে না, উদ্যোক্তা হতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সকল শিক্ষার্থীকে শুধু পডাশোনা করে চাকরি খুঁজলে চলবে না, তাকে উদ্যোক্তা হতে হবে। এ জন্য আমরা সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। সাধারণ শিক্ষার মধ্যে সিলেবাসে বাধ্যতামূলক একটি কারিগরি ট্রেড অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে এটি কার্যকর করার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জন্য সুখবর দিয়ে ডাঃ দীপু মনি বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হবে। ইবতেদায়ি শিক্ষকদের মানবিক জীবন-যাপনের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বিষয়ে সম্মতি রয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হবে’ বলে আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।
×