ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে সংঘর্ষে আহত কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৮ এপ্রিল ২০২০

 মাদারীপুরে সংঘর্ষে আহত কৃষকের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৭ এপ্রিল ॥ খালে সাঁকো দেয়াকে কেন্দ্র করে একই বংশের চাচা তো ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত সোরহাব ফকির (৫০) নামে এক কৃষক মারা গেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে সদর পুলিশ। নিহত সোরহাব ফকির একই গ্রামের হাসেম ফকিরের ছেলে। জানা গেছে, সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামের খালে বুধবার দুুপুরে সাঁকো দেয়াকে কেন্দ্র করে এবং পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধের জের ধরে একই বংশের চাচা তো দুই ভাই সোরহাব ফকির ও লোকমান ফকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। গুরুতর আহত হয় সোরহাব ফকির, সরোয়ার ফকির, সোহাগ ফকির, মতিয়ার ফকির, গিয়াস ফকির। আহতদের প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরোয়ার ফকির ও সোরহাব ফকিরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সোহরাব ফকির মারা যান। ফরিদপুরে আহত ১৩ নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, ভাঙ্গায় দুই পক্ষের দুই দফা সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। এ সময় সাত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বেলা ১১টা এবং দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের ভীমের কান্দা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাহেব মোল্লা ও সিরাজ মাতুব্বরের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে সাহেবের সমর্থক হায়দার মুন্সীর স্ত্রী বেদানা বেগম সিরাজের সমর্থক আনসার মাতুব্বরের পাটখেতে ছাগাল বাঁধেন। এ ঘটনায় আনসার ক্ষিপ্ত হয়ে বেদানাকে মারধর করেন। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর দুপুর দেড়টা থেকে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কুয়াকাটায় ইমামকে পিটিয়ে জখম নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, কুয়াকাটায় একটি জামে মসজিদে জুমার নামাজে ইমাম নিয়ে আপত্তি তুলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মসজিদের মিম্বর থেকে ইমামকে নামিয়ে দেয়া নিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজ শুরুরকালে বাগ্বিত-ার এক পর্যায়ে ইমাম হাফেজ আঃ সালামকে লোহার রড দিয়ে পায়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুয়াকাটা পৌরসভার সীমানা ঘেষা লতাচাপলী ইউনিয়নের বড়হরপাড়া সুফিসাব হুজুরের বাড়ি জামে মসজিদে কয়েক মাস ধরে ইমামের পেছনে নামাজ পড়া না পড়া নিয়ে মুসল্লিদের বিবাদ চলছিল।
×