দুদকের কোন দুর্নীতি থাকলে তাও খুঁজে বের করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যে কোন প্রকার দুর্নীতি থাকলে তাও খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। একই সঙ্গে দুদক কারও দ্বারা কোন প্রকার প্রভাবিত হয়ে বা কারও নির্দেশনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে দুর্নীতি দমনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। দুদক ও বিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান, এএফএম আমিনুল ইসলাম,সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আদিত্য আরাফাত। দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, দুদকের প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, গোয়েন্দা ইউনিটের পরিচালক শিবলী নোমান কর্মশালায় ৪০ সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। চেয়ারম্যান বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোন দোষ-ত্রুটি খুঁজে পান তা নিয়েও সংবাদ প্রকাশ করবেন। জনগণকে জানাবেন। কারণ দুদক জনগণের প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক ছাড়া দুদকের অস্তিত্ব দৃশ্যমান নয়। আপনারা আমাদের শত্রু নন বরং সহযোগী বা সহযাত্রী। আমাদের নিয়ে সমালোচনা করা হলেও আমরা আপনাদের শত্রু ভাবি না। বরং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে সমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করি। ইকবাল মাহমুদ বলেন, ক্যাসিনো কা- নিয়ে অনেক কথা হয়। ক্যাসিনো কর্মকাণ্ড কিন্তু দুদক আইনে তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। তবে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ। আমরা অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অন্য কোনও সংস্থা নয়, দুর্নীতির তথ্যের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে গণমাধ্যম। আমরা আমাদের এই কর্মপ্রক্রিয়া থামাব না। এটা চলবে। দুর্নীতিবাজদের যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের আওতায় আনতে পারছি ততক্ষণ নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের তাড়া করব। দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পেছনে প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। এই দুর্নীতির মাত্রা যতটা কমিয়ে আনা যায় সেটাই হবে মুজিববর্ষে আমাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম কাজ। তিনি বলেন, মানুষ গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদ বিশ্বাস করে। এমনকি শিশুরা সংবাদপত্র থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। সংবাদপত্র, টেলিভিশন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।