ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননা দিল ইউনিসেফ;###;বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা বিল গেটসের

বিনিয়োগ চাই ॥ যুক্তরাষ্ট্র্রের ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিনিয়োগ চাই ॥ যুক্তরাষ্ট্র্রের ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

এম শাহজাহান, নিউইয়র্ক থেকে ॥ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য আপনাদের বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের উভয়ের জন্য উইন-উইন অপশন হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সাক্ষাতকালে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। এছাড়া তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননা দিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ)। বৃহস্পতিবার নিউইয়কের্র ইউনিসেফ ভবনে প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সন্ধ্যা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর শেখ হাসিনার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন। সম্মাননা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিসেফের দেয়া সম্মানজনক এই পুরস্কার দেশবাসী এবং বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের শিশুদের উৎসর্গ করেন। এর আগে লোটে প্যালেস নিউইয়র্ক হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে দুদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এছাড়া স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে লোটে প্যালেস নিউইয়র্ক হোটেলে এসে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন বিল গেটস। বৃহস্পতিবার সারাদিন কর্মব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন তিনি। এবারের ভাষণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া জলবায়ুজনিত ক্ষতি মোকাবেলা, সন্ত্রাস নির্মূল ও এসডিজি বাস্তবায়নের মতো বিষয়ও গুরুত্ব পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুও জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুদেশের সম্পর্কের বিকাশ ঘটেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য ও বৃহত্তম বিনিয়োগ অংশীদার, তা দেখে আমি খুশি। আরও উন্নয়নের জন্য আপনাদের বিনিয়োগ ও সম্পৃক্ততা গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের উভয়ের জন্য উইন উইন অপশন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের দরজায় কাড়া নাড়ছে। এই সময়ে লাভ ও সমৃদ্ধির অংশীদার হতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উদার বিনিয়োগনীতি রয়েছে বাংলাদেশের। আইনের মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগের সুরক্ষা, কর অবকাশ সুবিধা, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড়, লভ্যাংশ ও পুঁজির সহজ প্রত্যাবাসনসহ বাংলাদেশে বিনিয়োগের নানা সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ অভ্যন্তরীণ ও দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তিগুলোর প্রাসঙ্গিক আইন দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি এবং ‘দ্বিগুণ কর পরিহারের কনভেনশন’ স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশী বিনিয়োগের সুবিধার জন্য বাংলাদেশে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সুবিধাসহ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। গত ১০ বছরে গড়ে ৭ শতাংশ এবং গত বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে পৌঁছনোর কথা উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে তার নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে, যা দেশটির প্রতি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ গত পাঁচ বছরে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রযুক্তি সক্ষমতার তুলনায় এ বিনিয়োগ অনেক কম। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের নানা সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কৌশলগত অবস্থান বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতি হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, পশ্চিমে ভারত, উত্তরে চীন, পূর্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং নিজের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষসহ বাংলাদেশ ৪০০ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্র রয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধার জন্য সার্ক, বিমসটেক, বিবিআইন ও বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডরের আওতায় আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির কাজও চলছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী, চতুর্থ বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী এবং পঞ্চম বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ মাছ উৎপাদনকারী দেশ। একইসঙ্গে বিশ্ব বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশও বাংলাদেশ। ওষুধ, সিরামিক, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া এবং তথ্যপ্রযুক্তির মতো সম্ভাবনাময় খাতও রয়েছে বাংলাদেশে। বন্যা, নদীভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সুরক্ষার জন্য তার সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নামে অনন্য কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দুদেশের সম্পর্কের বিকাশ ঘটেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক বিরাজ করছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকা বার্ষিক অংশীদারি সংলাপ এবং টিআইসিএফএ প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সুরক্ষা, সামরিক এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধীসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত সংলাপ করছি। আমরা সকলের সম্মিলিত সমৃদ্ধির জন্য একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং অন্তর্ভুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছরে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লোটে প্যালেস নিউইয়র্কে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন বিল এ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার বিল গেটস, আইসিসি প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুদা, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রানডি, ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিল গেটসের সাক্ষাত ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ৫১ বিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থাগুলোর একটি বিল এ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে তারা দারিদ্র্যবিমোচন এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রেও যাতে কেউ শিক্ষা ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে তারা। এদিকে বাসস জানায়, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান বিল গেটস বলেছেন, তার সংস্থা বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচীতে সহায়তা দেবে। বিল গেটস ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসির প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুদা, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রানডি এবং ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভাও আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ ছাড়া এক্সন মবিল এলএনজি ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এ্যালেক্স ভি ভলকোভও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, ন্যাশনাল এডভাইজারি কাউন্সিল অব নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজ অর্ডার এ্যান্ড অটিজম অব বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিল গেটস বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে ভ্যাকসিনে। এ সব বিষয়ে বিল গেটস সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করেছে বাংলাদেশ। যেটা টাইফয়েড, কলেরা রোগ নিরাময়ে কাজ করে। বিল গেটসকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের দেশে মোটামুটিভাবে আমরা কলেরা নিধন করেছি। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রধানমন্ত্রীর ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড অর্জন ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড শীর্ষক পুরস্কার দিয়েছে ইউনিসেফ। এ নিয়ে জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনে যোগ দিয়ে দুটি পুরস্কার পেলেন বিশ্বের অন্যতম এই রাজনীতিক। এ পুরস্কার তিনি উৎসর্গ করেন বিশ্বের সকল শিশু, তরুণসহ বাংলাদেশের জনগণকে। পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বলেন, এই সম্মান বাংলাদেশের। এছাড়া জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক পুরস্কার অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংস্থাটির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে উপস্থিত হয়ে অভিনন্দন জানান ক্রিকেট বিশ্বের শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার বক্তব্যের শেষ প্রান্তে দর্শক যখন করতালি মুখর, তখন ক্রিকেটপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী খেলার কথা শুনতে চান সাকিবের কাছে। জবাবে তারুণ্যের এই প্রতীক বললেন, আগামী টি-২০ বিশ্বকাপে দেশের মুখ উজ্জ্বল করব। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফ কার্যালয়ের হেনরি ল্যাবউসি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সন্ধ্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন সাকিব আল হাসান। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ইউনিসেফের ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক পুরস্কার তুলে দেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর। এতে আরও বক্তব্য দেনÑ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত বিশ্বের শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের এই অগ্রগতি এগিয়ে চলুক আমরা সবাই একসঙ্গে এগিয়ে চলি। কারণ আমরা এখানে সবাই বাঙালী আছি। আমরা যদি সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাই, তাহলে বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারব। সাকিবের এই বক্তব্যেও শেষ প্রান্তে দর্শক যখন করতালি মুখর, তখন প্রধানমন্ত্রী খেলার কথা শুনতে চান ক্রিকেট অলরাউন্ডারের কাছে। জবাবে বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, আমরা বিশ্বাসী যে- বাংলাদেশ একটা ভাল দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
×