ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

তাসলিমার লাশ লক্ষ্মীপুরে দাফন

ছেলেধরা সন্দেহে ১৮ জনকে গণপিটুনি, সারাদেশে আতঙ্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ২৩ জুলাই ২০১৯

  ছেলেধরা সন্দেহে ১৮ জনকে গণপিটুনি, সারাদেশে আতঙ্ক

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে ‘গণপিটুনি’র ঘটনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে বিরাজ করছে আশঙ্কা। এই বাতিক থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করে এক পুলিশ কর্মকর্তা জনগণকে গুজবে কান না দিয়ে সচেতন হতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই সন্দেহ বাতিকের অসহায় শিকার হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি মহিলারা। এদের অনেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। জানা গেছে, সোমবার রাজশাহীতে ৫, লালমনিরহাটে তিন, বগুড়ায় চার, কুষ্টিয়া ও মাদারীপুরে দুই, ঝালকাঠিতে এক ও হবিগঞ্জে তিনজনকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ছেলেধরা আতঙ্কে কলাপাড়ায় দুই শিশু শিক্ষার্থী পথিমধ্যে অচেতন হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে লক্ষ¥ীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাসলিমার লাশ দাফন করা হয়েছে। অন্যদিকে একই আতঙ্কে নওগাঁ জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার কমে গেছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। রাজশাহীর চারঘাটে ‘ছেলেধরা’ গুজবে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন এবার পাঁচ এনজিও কর্মী। সোমবার দুপুরে উপজেলার রাওথা এলাকা থেকে পুলিশ ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। আটককৃতরা নিজেদের আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামের একটি এনজিও কর্মী দাবি করেছে বলে চারঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাওথা এলাকায় অপরিচিত পাঁচ ব্যক্তি সমিতির নাম করে সদস্য সংগ্রহ করছিল। এ সময় সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাদের সমিতির নাম জানতে চেয়ে কাগজপত্র ও পরিচয়পত্র দেখতে চায়। তবে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে ছেলেধরা সন্দেহ পাঁচজনকে ধরে পিটুনি দিয়ে আটকে রেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ঝাকরপুর গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪২), একই এলাকার আখতারুজ্জামানের ছেলে আবুল হোসেন (৪০), একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৩৮), ঢাকা দক্ষিণের লালবাগ থানার আব্দুল মজিদের ছেলে কাইয়ুম আলী (৩৯) ও একই এলাকার আবুল কালাম (৩৬)। আটককৃতরা নিজেদের আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামে একটি এনজিওর মাঠকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। রবিবার তারা রাওথা গ্রামে গিয়ে একটি এনজিওর কার্যালয় করার কথা বলে আব্দুল মজিদের বাড়ি ভাড়া নেয়। রাতে তারা সেখানেই ছিলেন। সোমবার তারা ওই এনজিওর নামে সদস্য সংগ্রহের কাজে বের হয়। এ সময় তারা এলাকাবাসীর রোষানলে পড়েন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, কোন এনজিও উপজেলায় কাজ করতে চাইলে তাদের পরিচয়সহ কাগজপত্র জমা দিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতিপত্র নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা এ ধরনের কোন অনুমোদন নেয়নি। এছাড়াও তারা যে এনজিওর কথা বলছে তার বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। লালমনিরহাট ॥ এখানে ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাসহ ৩ জন গণপিটুনির শিকার হয়েছে। আতস্কে শহর ও গ্রামের স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। সোমবার বিকেলে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বিকেল ৪টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি না দিতে ও গুজবে কান না দিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ও এএসপি হাসান উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট জেলায় ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাসহ ৩ জনকে গণপিটুনি দেয়ার ঘটনার সময় পুলিশ উদ্ধার করেছে। গণপিটুনির শিকার ৩জনই মানসিক প্রতিবন্ধী বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। কুষ্টিয়া ॥ দৌলতপুরে ছেলেধরা সন্দেহে হাসিনা বেগম নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে আহত করেছে এলাকাবাসী। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দৌলতপুর থানার পাশর্^বর্তী শিতলাইপাড়া গ্রামে নির্মম ও অমানবিক এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দৌলতপুর মাস্টারপাড়া গ্রামের আশিকুর রহমান রনির বাড়িতে তার মানসিক ভারসাম্যহীন শাশুড়ি গত রোজার ঈদের আগে থেকে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। সোমবার সকালে বাড়ির লোকজনের অজান্তে হাসিনা বেগম (৬০) নামে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী শিতলাইপাড়া গ্রামে গেলে গ্রামের লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। আহত হাসিনা বেগমের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। দৌলতপুর থানার ওসি আজম খান বলেন, তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে। এ ঘটনায় আহতের স্বজনরা মামলা করতে চাইলে মামলা নেয়া হবে। মাদারীপুর ॥ সোমবার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজার এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে গলাকাটা (ছেলেধরা) সন্দেহে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সদর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজারে সোমবার বেলা ১২টার দিকে এক নারীকে বাজারে ঘুরতে দেখে লোকজন। এ সময় গলাকাটা (ছেলেধরা) সন্দেহ হলে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে ওই নারীর কথাবার্তা অসঙ্গতিপূর্ণ ও এলোমেলো হওয়ায় পুলিশ ছেড়ে দেয়। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ওই নারী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে ওই নারীর কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘ছেলেধরা এক নারী আটক হয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করেছে। ওই নারী মূলত মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে কেউ ছেলেধরা সন্দেহে নির্যাতন করতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।’ ঝালকাঠি ॥ সদর উপজেলার শেখের ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রাম থেকে ছেলেধরা সন্দেহে হাসিব বাপ্পি (২৭) নামের এক যুবককে স্থানীয় লোকজন গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। সে বরিশাল শহরের রূপাতলি খান সড়ক এলাকার মোঃ সোহরাব হোসেনের পুত্র। সোমবার সকাল ৯টায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হাসিব বাপ্পি একজন পেশাদার চোর ও মাদকসেবী। তার বিরুদ্ধে বরিশালের কোতোয়ালি থানায় ছয়টি চুরির মামলা রয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ, হাসিব মির্জাপুর গ্রামের আলমগীর সিকদারের বাড়ির চারপাশে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে এবং পরে পার্শ্ববর্তী পনির সরদারের বাড়ি থেকে একটি বঁটি ও একটি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করে পালানোর সময় হাতে বঁটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে মারপিট করে এবং পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের হাতে সোপর্দ করে। ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গাইন জানান, তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে এবং বরিশাল কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে ছয়টি চুরির মামলা রয়েছে। হবিগঞ্জ ॥ ছেলেধরা সন্দেহে শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে ৩ ব্যক্তি গণপিটুনি শিকার হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রত্যেককে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলো জেলার মাধবপুর উপজেলাধীন নোয়াপাড়া কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা তোরাব আলীর পুত্র মুখলেছ মিয়া (৩২), একই এলাকার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৩৩) ও বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলাধীন হাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহেদ মোল্লার পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৩০)। পুলিশ এই ঘটনাটিকে ছেলেধরার গুজব হিসেবে উল্লেখ করে বলছে, এটি নিছক ডাকাতি সংঘটিত করার পরিকল্পনা ছিল। জনতার কবল থেকে উদ্ধারকৃত ওরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতি করার জন্যই ঘোরাফেরা করছিল। এসময় জনতার হাতে পিটুনির শিকার হয় তারা। পুলিশ জানায়, রবিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ওই এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে একটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে এই তিন ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছিলেন। এসময় ওদের ছেলেধরা সন্দেহ হলে জনতা তাদের পাকড়াও করে পিটুনি শুরু করে। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এসময় জনতার হাতে দুলাল আহমেদ নামে এক কনস্টেবলও আহত হন। পটুয়াখালী ॥ পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকায় ছেলেধরা আতঙ্কে পঞ্চম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়লে কলাপাড়া হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরের এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এরা হচ্ছে চরনিশানবাড়িয়া গ্রামের চরনিশানবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুমায়রা (১১) ও বৈশাখী (১১)। বর্তমানে দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক চিন্ময় হাওলাদার জানান, ওরা কিছু একটা স্প্রে করার কথা বলেছে। তবে প্রচ- ভয় পেয়েছে। আর কিছু না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখন দু’জনেই সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমেছে ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, ছেলেধরা গুজবে উপস্থিতি কমেছে নওগাঁর প্রাথমিক স্তরের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরাও। জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে শিশুদের মাথা লাগছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় শিশুদের সাবধানে রাখার জন্য পরামর্শমূলক বার্তাও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠানো হয়। ফলে গুজবটি দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সেই গুজব এখন ভয়াবহ আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী বাবা-মায়েরা বেশি আতঙ্কে আছেন। সেই সঙ্গে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। অনেকের বাবা-মা সন্তানদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমার দাফন সম্পন্ন ॥ রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত নারী তাসলিমা বেগম রেনুর (৪০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার জানাজা শেষে রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বাপ-দাদার কবরের সঙ্গে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নিহতের মরদেহ তার বাবার বাড়িতে আনলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তার নিকটতম আত্মীয়রা মরদেহের চতুর্পাশে শেষবারের মতো দেখার জন্য ভিড় জমায়। এ সময় নিহতের স্বজনরা এই ঘটনাকে ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। বগুড়া ॥ সোমবার সন্ধ্যার আগে বগুড়ার গাবতলি উপজেলার দুর্গাহাটায় ছেলেধরা সন্দেহে পিকআপ গাড়িতে করে আসা চার ব্যক্তিকে বেধড়ক পিটিয়েছে এলাকাবাসী। তারা পিকআপ গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার ব্যক্তিকে উদ্ধার এবং ১৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পিটুনিতে আহতরা হলো নিয়ামুল আকন্দ (৩৬), দুলাল মিয়া (২১) লুৎফর রহমান (৩৫) ও ফাহিম (২৪)। প্রথম তিনজনের বাড়ি ধুনট উপজেলার জোড় শিমুলিয়া ও মধ্যপাড়া গ্রামে। ফাহিমের বাড়ি গাবতলির আটমুল গ্রামে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, আহত চারজনের দুইজন ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করে। দুইজন পিকআপ গাড়ির চালক ও হেলপার।
×