ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

মাতারবাড়িতে ২৪শ’ মেও বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে মার্কিন ইথেন কোম্পানি

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

মাতারবাড়িতে ২৪শ’ মেও বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে মার্কিন ইথেন কোম্পানি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাতারবাড়িতে দুই হাজার ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকান ইথেন কোম্পানি (এইসি)। কোম্পানিটি বাংলাদেশে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার কথা বলছে। মাতারবাড়িতে সরকার কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রের পাশাপাশি এলএনজি থেকে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের বিদ্যুত খাত বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জার্মানির সিমেন্স ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩ হাজার ৬শ’ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। দেশের সব থেকে সফল রাষ্ট্রীয় নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) যৌথভাবে সিমেন্সের সঙ্গে কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে। দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতে কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রের জ¦ালানি হবে এলএনজি। এর বাইরে সিমেন্স বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে যৌথভাবে আরও তিন হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের জন্য আলোচনা করছে। সিমেন্স ছাড়াও ভারতের রিল্যায়েন্স, আদানী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য চুক্তি করেছে। মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশের প্রথম ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেক্ট্রিক (জিই) ১৭ হাজার ৮শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। বিদ্যুত, জ¦ালানি এবং খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রহ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের প্রতি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদ্যুত খাতে বিনিয়োগের জন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রস্তাব নিয়ে আসছে। বিদ্যুতের উৎপাদনের সঙ্গে সঞ্চালন এবং বিতরণেও সরকার নতুন নতুন প্রকল্প নিচ্ছে। বিদ্যুতের একটি টেকসই উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট বিদ্যুত বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে মার্কিন কোম্পানিটির বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। এইসি তাদের প্রস্তাবে বলছে, তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে চলবে বিদ্যুত কেন্দ্রটি। কেন্দ্র নির্মাণে যন্ত্রাংশ এবং কারিগরি সহায়তা দেবে মার্কিন কোম্পানি জিই। এমনকি এখানে তাদের বিনিয়োগও থাকবে। জিই আগে থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করে আসছে। ইতোমধ্যে মাতারবাড়িতে কয়লাচালিত বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। বিদ্যুতকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। এর বাইরে মাতারবাড়ি মহেশখালীতে কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এমওইউ সই হলেও চুক্তি করেনি কোন কোম্পানি। বিদ্যুতকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য সমাঝোতা হলে এটি হবে দেশের দ্বিতীয় এলএনজি চালিত বিদ্যুতকেন্দ্র। সিমেন্স কাজ শুরু করার বিষয়ে আলোচনা করছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এলএনজির প্রথম চালান এর মধ্যে এসে পৌঁছেছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এলএনজি সরবরাহ শুরু করবে পেট্রোবাংলা। আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে অন্তত দৈনিক ২ হাজার মিলিয়ন এলএনজি আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই এলএনজিকে কাজে লাগাতে হলে এখন থেকেই প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
×