ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাশে থাকার আশ্বাস রাশিয়ার

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাশে থাকার আশ্বাস রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক ॥ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাশিয়া সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আজ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ আশ্বাস দেন রাশিয়ার ডেপুটি কৃষিমন্ত্রী লেভিন সার্গেই ইভোভিস। তিনি ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড এক্সপোর আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সমর্থনের আশায় ঢাকা সফররত রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এমন তথ্য জানান। রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একটি দেশ কোনো একটি ইস্যুতে ভিন্ন মত পোষণ করতেই পারে। তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্র নীতিমালা রয়েছে। তবে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো হবে- তা চূড়ান্ত করে গত ১৬ জানুয়ারি একটি চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। এই ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী, প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হওয়ার সময় থেকে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক। আর মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে। ত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। সেনাবাহিনীর ওই অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে শরণার্থীদের ফেরত নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি করতে গত ২৩ নভেম্বর নেপিদোতে দুই দেশের মধ্যে একটি সম্মতিপত্র সই হয়। সেখানে বলা হয়, প্রথম দফায় শুধু এবার আসা শরণার্থীদেরই ফেরত নেবে মিয়ানমার। ওই সম্মতিপত্র স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে সই করবে দুই দেশ।
×