ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে পীর হত্যা

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরেক পীরসহ আটক ৩

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৬ মার্চ ২০১৭

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরেক পীরসহ আটক ৩

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম ॥ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও তার গৃহকর্মী রূপালী বেগমকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরেক ‘পীর’সহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে মোঃ এসহাক আলী (৫৭) নামে এক ‘পীর’কে আটক করে জেলা পুলিশ। আটক এসহাক আলী (৫৭) ওই গ্রামের ‘পীর’ আজিম উদ্দিনের ছেলে। এসহাকও একজন ‘পীর’। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা এলাকায় কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের খাদেম সাইদুর রহমান ও তার সহযোগী সমর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, দরবার শরীফ থেকে খাদেম সাইদুর রহমান, সমর আলী ও জনি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বোচাগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে জনি বেগমকে ছেড়ে দেয়া হয়। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরীসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি করেন নিহত ফরহাদ হোসেনের মেয়ে ফাতেমা জাহান এমি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায় পুলিশ। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পীরসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে পীর ইসহাক আলীকে আটক করা হয়েছে। তাকে দিনাজপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। রাতে কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের খাদেম সাইদুর রহমান ও সহযোগী সমর আলীকে আটক করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, দক্ষিণ পাথরডুবি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে এসহাক আলীকে আটক করা হয়। তিনি নিজেকে পীর বলে দাবি করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিনাজপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে দিনাজপুরের পুলিশ ঘটনার তৃতীয় দিনেও হত্যার পেছনের কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোচাগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, তদন্ত কাজ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। আটক ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার স্বার্থে এই মুহূর্তে তদন্ত সম্পর্কে আগাম কিছু বলা সমীচীন হবে না। কথিত পীর ফরহাদ হোসেনের চাচা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৮ বছর আগে নির্বাচনে হেরে গিয়ে চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েন তিনি। সে সময় কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারীর কথিত পীর এসহাকের সঙ্গে ফরহাদের যোগাযোগ হয়। এসহাকের প্ররোচনায় সে পীর বনে যায়। এসহাক মাঝে মাঝে ফরহাদের দরবারে আসতেন বলে জানান তিনি।
×