ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছয়মাসের কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে পেট্রোলিয়াম আইন বিল পাস

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ১৯ জুলাই ২০১৬

ছয়মাসের কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে পেট্রোলিয়াম আইন বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ, পরিবহন, বিতরণ উৎপাদন, শোধন ও মিশ্রণ বন্ধে পেট্রোলিয়াম আইন-২০১৬ বিল পাস করা হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে পাসকৃত এই আইন লংঘনে ছয়মাসের কারাদ- বা দশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সদস্যদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের তেলের মূল্য হ্রাস না করার সমালোচনার জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে আমরা তেলের মূল্য এক দফা কমিয়েছি। তেলের মূল্য হ্রাস করার পরেও যানবাহনের ভাড়া হ্রাস হয়নি, তেমন কোন সুফল আমরা পাইনি। যদি আমরা ভবিষ্যতে সুফল পাই তবে তেলের মূল্য আরও দু’দফা হ্রাসের চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে। আর সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই বিলটি আনা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন তেল বিপণন কোম্পানি প্রথম শ্রেণীর পেট্রোলিয়াম ব্যবসা করার জন্য ডিলার নিয়োগ করতে পারবে। একইভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর পেট্রোলিয়াম ব্যবসার জন্য এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবে। লাইসেন্স ছাড়া প্রথম শ্রেণীর পেট্রোলিয়াম আমদানি, পরিবহন, মজুদ বা বিতরণ করা যাবে না। তবে লাইসেন্স ছাড়া ২ হাজার লিটার পরিমাণ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর মজুদ ও পরিবহন করা যাবে। কিন্তু তা এক হাজার লিটার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া লাইসেন্সধারী মোটরযান বা জ্বালানি ইঞ্জিনের জন্য ৯০ লিটার পেট্রোলিয়াম মজুদ ও পরিবহন করতে পারবে। একইভাবে বিক্রির উদ্দেশ্য ছাড়া লাইসেন্স ব্যতীত ২৫ লিটার পরিমাণ প্রথম শ্রেণীর পেট্রোলিয়াম মজুদ করার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে। বিলে আরও বলা হয়েছে, ২৫ লিটারের বেশি মজুদ করতে হলে লোকালয়, বাসস্থান বা কর্মস্থলের বাইরে বিচ্ছিন্ন স্থানে করতে হবে। প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিস্ফোরক পরিদর্শক লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদ, শর্ত, ফি প্রদান সাপেক্ষে ইস্যু হবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম সম্পর্কিত ১৯৩৪ সালের দ্য পেট্রোলিয়াম এ্যাক্ট আইনটি-১৯৮৬ সনে দ্য পেট্রোলিয়াম (এ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স দ্বারা সংশোধন করা হয়। উক্ত আইন দ্বারা পেট্রোলিয়াম এবং অন্যান্য প্রজ্বলনীয় পদার্থের আমদানি, পরিবহন মজুদ, উৎপাদন, শোধন, মিশ্রণ অথবা রিসাইক্লিং-এর মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পাদন করা হচ্ছে। রিপোর্ট উত্থাপন ॥ এদিকে অধিবেশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডাঃ দিপু মনি কমিটির প্রথম রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেন।
×