একসঙ্গে ২৫০ মি. গ্রাম এর উপরে কফি পান করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। যেমন-দ্রুত হৃৎস্পন্দন, উদ্বেগ (অহীরবঃু), অনিদ্রা , স্নায়ুবিক কাঁপুনি (হাত নাড়ানো) এবং বমি বমি ভাব। কফি পান করলে যাদের রক্তের অস্বাভাবিক উচ্চ চাপ (ঐুঢ়বৎঃবহংরড়হ) রয়েছে তাদের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ ক্যাফেইন ব্লাডপ্রেসারকে দ্রুত বাড়াতে সহায়তা করে।
কফি খুবই আসক্তি সৃষ্টিকারক। যে কোন মাদক দ্রব্যের মতোই এটি আসক্তি সৃষ্টি করে। ক্যাফেইনের কার্যকারিতা মস্তিষ্কে কেমিক্যাল এ্যাডিকশন তৈরি করতে পারে। আসক্তি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। এর ফলে অবসাদ এবং মানসিক সমস্যার মতো মারাত্মক এবং কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
নিয়ম করে কফি পান করলে ঘুমের নিয়মে ব্যাঘাত ঘটে। এর কারণ কফি একটি উত্তেজক। এটিতে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ জাগিয়ে রাখে। যারা কফি পান করেন আসলে তাদের মোট ঘুমের পরিমাণ কমে যায়। কফি পান করলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এর ফলে মেজাজের মারাত্মক ধরনের ব্যাঘাত ঘটে যেমন অবসাদগ্রস্ততা এবং খিটখিটে মেজাজ। অবিরত কফি পান করার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। শরীরে রক্তের প্রবাহ কমে যায়, ফলে মস্তিষ্কেও অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। স্মৃতিশক্তি কমে আসে এবং মানুষ নেতিবাচক মানসিক ক্রিয়াকলাপ করে থাকে। শারীরিকভাবে মানুষ এতটাই চাপের মধ্যে থাকে যে পরবর্তী বেশির ভাগ মানুষেরই উচ্চ চাপের সম্ভাবনা থাকে।
কফিতে সীসা, ক্যাডমিয়াম, এ্যালুমিনিয়াম এবং অন্যান্য কিছু বিষাক্ত থাকে। নিয়মিত কফি পানে শরীরে এসব ধাতু জমা হতে থাকে। সব ধরনের বিষাক্ত ধাতু শরীরের জন্য সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিকর।
ক্ষেত থেকে কফি গুদামজাত করা হয়। আর এই গুদামজাত কফি যখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ করে তখন এটির সঙ্গে র্যানসিড তেল মিশ্রিত থাকে। র্যানসিড তেল লিভারের জন্য বিষাক্ত এবং উত্তেজক। এক কাপের বেশি কফি পান করলে শরীরে সবসময় পানিশূন্যতার প্রবণতা দেখা যায়। এজন্য যারা কফি পান করেন তাদের অন্যান্য পানীয় বেশি পরিমাণে পান কর উচিত।
সুজন মনজুর
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: