এক বুক আশা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু আশা পূরণের চেয়ে হতাশ হয়েছি বেশি। নেই কোন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি যা আছে সেখানেও নেই পর্যাপ্ত বই। অধিকাংশ বিভাগে নেই সেমিনার, নেই গবেষণার ভাল কোন সুযোগ। অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের ফলে এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেকটাই বিনষ্ট। তবে আশারবাণী হলো, ২০১২ সালের সঙ্গে বর্তমান পরিবেশের অনেক পার্থক্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরও সফলতা বাড়ছে। প্রত্যাশা করি, দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একদিন দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হয়ে উঠবে।
রিদওয়ান জামি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ১১তম ব্যাচ
প্রাণের ¯পন্দন প্রিয় কুবিতে এসেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ তম আবর্তনের সদস্য হয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে। দেখতে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রায় দেড় বছর শেষ। এই অল্পসময়ে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসাব মেলানো কঠিন। একযুগ পেরিয়ে গেলেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, নেই কোন অডিটোরিয়াম। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসার নিশ্চয়তার যথেষ্ট অভাব বিদ্যমান। আবাসিক-অনাবাসিক প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র একটি এ্যাম্বুলেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের একযুগ পূর্তিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন, শিক্ষার্থীদের এ মৌলিক বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে নিতে।
তাহরিমা তাহসিন লিমা, রসায়ন বিভাগ, ৭ম ব্যাচ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক মায়া-মমতা, স্মৃতি, আনন্দ, দুঃখ, হাসি, আড্ডা সবকিছু জড়িয়ে আছে এই ছোট্ট শব্দটার সঙ্গে। আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় মানে বিশ্বমানের জ্ঞান চর্চার জায়গা। কিন্তু আমাদের এখানে সেজন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সীমিত। তাছাড়া আবাসিক সঙ্কট, গবেষণা কর্মের জন্য পর্যাপ্ত বইয়ের সুবিধাসহ পাঠাগার ইত্যাদি ক্ষেত্রেও রিসোর্স অনেক কম।
ফাহমিদ হাসান অনিক, সিএসই বিভাগ, ৮ম ব্যাচ
বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে সেই জায়গা যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের জ্ঞানের সান্নিধ্যে এসে স্বপ্নের চাষ করে। সে তুলনায় আমি বলব আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও এমন কিছু সমস্যা রয়েই গেছে যেগুলো দ্রুত সমাধান করা উচিত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: