ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

যথাযথভাবে ইউরিয়া সার সংরক্ষণের দাবি সার ডিলারদের

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৭ জুলাই ২০১৬

যথাযথভাবে ইউরিয়া সার সংরক্ষণের দাবি সার ডিলারদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সঠিকভাবে ইউরিয়া সার সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে সার ডিলাররা। শনিবার বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে দেশে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত ইউরিয়া সার বাফার গুদামে যথাযথভাবে সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়। শনিবার সকালে বিএফএ’র পরিচালনা পর্ষদের সভা পল্টনের সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান কামরুল আশরাফ খান এমপি। সভায় বলা হয়, গুদামের অভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযথভাবে ইউরিয়া সার সংরক্ষণ করতে পারছে না বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)। ফলে গুদামের বাইরে উন্মুক্ত স্থানে রাখার কারণে বিপুল পরিমাণ সার বাতাস লেগে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডিলাররাও এ সার নিতে আগ্রহী হচ্ছে না। অথচ বাফার গুদাম থেকে এ নষ্ট সারই ডিলারদের গছিয়ে দেয়া হচ্ছে। সভায় আরও বলা হয়, যে সকল ঠিকাদারের সার পরিবহন করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকে তাদের সারও মাসের পর মাস বাফার গুদামগুলোতে গ্রহণ করা হয় না। এতে জাহাজে বা ট্রাকে করে সার নিয়ে গুদামের সামনে বসে থাকতে হয়। এতে পরিবহন ঠিকাদাররা হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি সারের পরিবহন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। সভায় এ অবস্থা নিরসনেরও জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে জানতে চাইলে বিএফএ চেয়ারম্যান কামরুল আশরাফ খান পোটন বলেন, বর্তমানে বিসিআইসির কাছে প্রায় ১৩ লাখ টন ইউরিয়া সার আছে। এর মধ্যে দুই লাখ এক হাজার টন বিসিআইসির কারখানা গুদামে, ছয় লাখ ৯৬ হাজার টন বাফার গুদামে এবং আরও প্রায় চার লাখ টন সার রয়েছে ট্রানজিটে। অথচ কারখানা ও বাফার মিলিয়ে বিসিআইসির সার সংরক্ষণের ধারণক্ষমতা হলো মাত্র তিন লাখ ৫২ হাজার টন। ফলে নয় লাখ টনেরও বেশি সার গুদামের বাইরে রয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে এ বিপুল পরিমাণ সার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এ নষ্ট সার কৃষক নিতে চায় না বলে ডিলাররাও নিতে আগ্রহী হচ্ছে না। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শাহজালাল সারকারখানা উৎপাদনে চলে এসেছে। প্রতিদিন এ কারখানায় ২৮শ’ টন ইউরিয়া উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি সরকার জিটুজি পদ্ধতিতে বন্ধপ্রতিম দেশগুলো থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করছে। ফলে দেশে সারের কোন অভাব না থাকলেও সংরক্ষণের অভাব রয়েছে। আর এ সংরক্ষণের অভাবেই মূল্যবান সার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার তথা বিসিআইসির যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
×