ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজও খেলা হবে না, মুস্তাফিজকে বিকল্প ভাবছেন নির্বাচকরা

দ্বিতীয় টেস্টে নেই শুধু শরিফুল

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ২০ মে ২০২২

দ্বিতীয় টেস্টে নেই শুধু শরিফুল

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ গত মাসে শেষ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারেননি বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টেও ছিলেন অনিশ্চিত। শেষ পর্যন্ত ফিট হয়ে খেলতেও নামেন। কিন্তু সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ের সময় হাতে পাওয়া আঘাতে ৪-৫ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন তিনি। তাই শরিফুলকে ছাড়াই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দল ঘোষণা করেছেন জাতীয় দলের নির্বাচকরা। তাই ১৭ সদস্যের দল এখন ১৬ জনে পরিণত হয়েছে। প্রথম টেস্টে খেলা বাকিরা আছেন দ্বিতীয় টেস্টেও। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু পরে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ইনজুরি আক্রান্ত তাসকিন আহমেদ, শরিফুলকে নিয়ে এবং মুস্তাফিজুর রহমানের বিষয়ে কথা বলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিন শরিফুলের বলে মাথায় আঘাত পান লঙ্কান বাঁহাতি পেসার বিশ^ ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় দিন বিশ^ ছিটকে যান, কনকাসন সাব হিসেবে নামেন ডানহাতি পেসার কাসুন রাজিথা। এই রাজিথাই যেন শরিফুলের জন্য দুর্ভাগ্য বয়ে এনেছে। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে রাজিথা যেমন ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের সব ব্যাটারদের, তেমনি চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ের সময় ডান হাতে বলের আঘাত পান শরিফুল। এরপর থেকেই তিনি মাঠের বাইরে। পরবর্তীতে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে চিড় ধরা পড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগ থেকে জানানো হয় ৪-৫ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে শরিফুলকে। সে কারণে পঞ্চম দিন মাঠে নামেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংও করেননি। প্রথম ইনিংসে ২০ ওভার বল করে ৩ মেডেনে ৫৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন শরিফুল। তার ইনজুরি নিয়ে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম বলেন,‘শরিফুল ইসলামের ডান হাতে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে একটা এক্স-রে করানো হয় এবং কিছুটা চিড় ধরা পড়ে পঞ্চম মেটাকারপাল হাড়ে। এ ধরনের ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে ৩ সপ্তাহের মতো সময় লাগে এবং তারপর ২ সপ্তাহের পুনর্বাসন দরকার হয়। তাই সে ৪-৫ সপ্তাহ খেলার উপযুক্ত থাকবেন না।’ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা মিরপুর টেস্টের দলে শুধু শরিফুলই নেই, বাকিরা আছেন। শরিফুল ছিটকে যাওয়ায় স্কোয়াডে এখন ৪ পেসার- খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা। এ বিষয়ে নান্নু বলেন,‘খেলানোর মতো চারজন পেসার আছে আমাদের স্কোয়াডে। এই মুহূর্তে কাউকে নেয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি না। যদি টিম ম্যানেজমেন্ট পরবর্তীতে কাউকে প্রয়োজন মনে করে, তখন নেয়া হতে পারে।’ আগামী ৫ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য বিমানে ওঠার কথা রয়েছে বাংলাদেশের ৩ ফরমেটের দলের। ২ টেস্ট এবং ৩টি করে ওয়ানডে ও টি২০ খেলবে সেখানে বাংলাদেশ। সফরের শুরুতে টেস্ট সিরিজ থাকায় এখন শরিফুল সেখানেও খেলতে পারবেন না। এমনকি তাসকিনও আপাতত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকাতে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাই মুস্তাফিজকে বিকল্প হিসেবে রাখা হতে পারে। নান্নু বলেছেন,‘মুস্তাফিজের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, আগামী সিরিজ নিয়ে। নির্বাচক প্যানেল থেকে যেভাবে আলোচনা হয়, সেভাবে কথা হয়েছে। কোন খেলোয়াড় যখন সেরা ফর্মে থাকে, তখন তাকে অবশ্যই দরকার হয়। যদি আমাদের ওকে দরকার হয় অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করা হবে। আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে, আমরা তাসকিনকে হয়তো টেস্ট পাচ্ছি না। সাদা বলের সিরিজে হয়তো পেতে পারি। শরিফুলকে টেস্টে পাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই, ওকে আমরা হয়তো সাদা বলে পেতে পারি।’ দ্বিতীয় টেস্টের বাংলাদেশ দল ॥ মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, এবাদত হোসেন, শহীদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা।
×