ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আকি রহমানের এভারেস্ট জয়

প্রকাশিত: ২৩:০০, ১৪ মে ২০২২

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আকি রহমানের এভারেস্ট জয়

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আখলাকুর রহমান ওরফে আকি রহমান (৩৯) পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন। তিনি প্রথম ব্রিটিশ মুসলিম হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন। নেপাল সময় সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি চূড়ায় পৌঁছেন। পবিত্র রমজান মাসে ৩৯ বছর বয়সী আকি এভারেস্ট জয়ের যাত্রা শুরু করেন। খবর অনলাইনের। আকি রহমান সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মরহুম হাজী ইস্কন্দর আলীর ছেলে। চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরন গ্রামে বাড়ি তাদের। তিনি বিশ্বজুড়ে আকি রহমান নামেই পরিচিত। জানা যায়, জন্মসূত্রে আকি রহমান যদিও বাঙালী, তবে মাত্র দেড় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডে। তার শৈশব কেটেছে ইংল্যান্ডের ওল্ডহ্যাম শহরে। ৫ ভাইয়ের মধ্যে আকি রহমান সবার বড়। স্ত্রী হেনা রহমান ও পরিবারের লোকজনের উৎসাহে আকি রহমান এবার এভারেস্ট জয়ের পথে যাত্রা করেন। পর্বতারোহী আকি রহমান তিন সন্তানের জনক। এর আগে আকি রহমান এক এক করে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি পর্বতশৃঙ্গে আরোহন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এবার হিমালয়ের মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের পথে পা বাড়ান। ২০২০ সালের জুলাই মাসে আফ্রিকার তানজিনিয়ার সবচেয়ে উঁচু পর্বত, যার উচ্চতা পাঁচ হাজার ৮৯৫ মিটার এবং মাউন্ট কিলিমানজারো জয় করে প্রথম সাফল্য অর্জন করেন তিনি। এরপর ফ্রান্সের সবচেয়ে উঁচু পর্বত চার হাজার ৮১০ মিটার মন্ট ব্লাঙ্ক, যা মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে মাত্র ৩৮ মিটার ব্যবধান, ওই পর্বতটিও জয় করেন। একই বছরের অক্টোবরে তৃতীয়বার ২৪ ঘণ্টায় জয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বত মাউন্ট এলব্রস, যার উচ্চতা ৫৬৪২ মিটার, তা মাত্র ৮ ঘণ্টায় আরোহন করে বিজয়ী হন। এর পাশাপাশি রাশিয়ার কারবাদিনো-বলকারিয়াও জয় করেন আকি রহমান। এরপর ২০২১ সালে নেপালে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম পর্বত হিমালয় আমাদা ব্ল্যাম জয় করেন তিনি। যার উচ্চতা ছয় হাজার ৮৫৬ মিটার। আকি রহমান, প্রথম ব্রিটিশ মুসলিম বাংলাদেশী ও প্রথম সিলেটি, যিনি পায়ে হেঁটে এভারেস্টের চূড়ায় যাবেন। অনেকেই এভারেস্টের বিভিন্ন বেজক্যাম্পে গেলেও এখন পর্যন্ত এভারেস্টের চূড়ায় কোন ব্রিটিশ মুসলিম, ব্রিটিশ বাঙালী বা সিলেটের বাসিন্দা পায়ে হেঁটে যাননি বলে জানা গেছে।
×