ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া

নৌপথে ফেরি স্বল্পতা, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ২১:১২, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

নৌপথে ফেরি স্বল্পতা, জনদুর্ভোগ চরমে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি স্বল্পতার কারণে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে মাত্র ৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হয়। এতে মাত্র ১০ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস চালু রাখায় প্রতিদিন পদ্মা পার হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে শত শত গাড়ি। অন্যদিকে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি স্বল্পতা ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার কম সময় ফেরি পারাপারের কারণে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে কয়েকদিন ধরেই পাটুরিয়ায় পারের অপেক্ষায় আটকে থাকছে অসংখ্য যানবাহন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেড় শতাধিক যাত্রীবাহী ও পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় ছিল। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের। দক্ষিণাঞ্চলের দূরবর্তী জেলা থেকে আসা ছোট যানবাহনগুলো বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করে বিকেলে যখন ফেরিতে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে তখন বিকল্প নৌপথে যাওয়া সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ চালকদের। বাধ্য হয়ে রাতে বাংলাবাজার ঘাট টার্মিনালে থাকতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ সকল গাড়ির চালক ও যাত্রীদের। গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্সও ফেরিতে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে। জরুরী অবস্থায় দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছুটতে হচ্ছে তাদের। এই অবস্থায় ফেরি সার্ভিসের সময় ও ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি চালকদের। তা না হলে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার কথাও বলছেন চালক ও যাত্রীরা। বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে ¯্রােতের তীব্রতার কারণে পদ্মাসেতুর পিলারে একাধিকবার ফেরির ধাক্কা লাগে। এরপর থেকেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হতে থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর টানা ৪৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৫ অক্টোবর সীমিত আকারে ফেরি চালু হয়। মাত্র ৬ দিন চলার পর স্রোত বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আবারও ফেরি বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। টানা ২৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৮ নবেম্বর থেকে পুনরায় ফেরি চালু হয় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে। তাও সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাত্র ৪টি ফেরি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারি যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখে শুধু হাল্কা যানবাহন পার করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফেরি চলাচলে সময় এবং সংখ্যা বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। হবে কি না তাও জানা নেই। তবে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ মানিকগঞ্জ ॥ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে দেড় শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন ও ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। অনেক ট্রাক ২/৩ দিন ধরে ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে। বিকেল ৪টার পর থেকে ১৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এ কারণে রাতের বেলায় ওই রুটের পণ্যবাহী ট্রাক ও কোচগুলো পাটুরিয়া ঘাটে এসে জড়ো হয়। এছাড়া পাটুরিয়া ঘাটে ফেরির স্বল্পতা রয়েছে। সাধারণত ১৭/১৮টি ফেরি চলাচল করে। বর্তমানে কোন দিন ১৫টি কোন দিন ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। এ কারণেই পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
×