ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

জবিতে সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত: ১৫:১০, ৭ অক্টোবর ২০২১

জবিতে সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু

জবি রিপোর্টার॥ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শুরু হয়েছে সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ। করোনায় স্থগিত হওয়ার দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ক্যাম্পাসে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো। শিক্ষার্থীরা বাস থেকে নেমে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বর ও ক্যাফেটেরিয়ায় বসেও শিক্ষার্থীদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরিকল্পনা পরীক্ষা শেষে সশরীর ক্লাস শুরু করার। ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার হলরুমে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হয়। প্রবেশের আগে মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রতিটি ব্রেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ ১৯ মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এতে বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আটকে ছিল। সবশেষ সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষাগুলো নেওয়া শুরু হয়েছে। আজ সকালে ও বিকেলে দুটি শিফটে সকল ইনস্টিটিউট ও বিভাগে দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ শিক্ষার্থীবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি বিবেচনায় সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পর পরীক্ষা নেওয়া আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে আজ শিক্ষার্থীদের উৎসব দেখে আমাদের সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে। এভাবেই তাঁরা এগিয়ে যাবে। আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরীক্ষা শেষে আমরা সশরীর ক্লাস নিতে পারব।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত মিনহাজ বলেন, ‘এটি ভীষণ আনন্দের বিষয়। আবারও সশরীর একাডেমিক কাজ শুরু হলো। আমরা এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। আজ বিভাগে উৎসবের আমেজ। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি।’
×