ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে সেতু ও সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ২৮ আগস্ট ২০২১

পঞ্চগড়ে সেতু ও সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড় সুগার মিল থেকে মাড়েয়া হয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের পাকা সড়কের মানিকপীর ভক্তেরবাড়ি এলাকায় পানির চাপে সেতুর একটি অংশ দেবে গিয়েছে এবং সেতু সংলগ্ন পাকা সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির চাপে শুক্রবার বিকালে সেতুর উত্তর পার্শ্বের সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে যায় এবং সেতুর দক্ষিণ পার্শ্বের সংযোগ সড়কটিও ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেতুটির দুই পারের পাকা সড়ক পানির তোড়ে ভেঙ্গে গিয়ে গভির খাতের সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর ফলে সড়ক দিয়ে পথচারীসহ সকলপ্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির কারণে নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। শুক্রবার আকষ্মিকভাবে সেতু ও সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে তিন উপজেলার সংগে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চগড় ভায়া মাড়েয়া হয়ে দেবীগঞ্জ যাওয়ার এই সড়কটি দিয়ে শত শত মানুষ ছাড়াও ছোটবড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করতো। এতে করে পঞ্চগড় থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা কম হয় এবং সময়ও কম লাগে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় সেতু ও সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে যায় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে সেতুর দক্ষিণ পার্শ্বের একটি অংশ দেবে গিয়ে সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে যায়। বিষয়টি সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলে তিনি জানান। পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, মানিকপীর ভক্তেরবাড়ি এলাকায় সেতুর উত্তর পার্শ্বের ১৮ ফিট সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যায় এবং সেতুর দক্ষিণ পার্শ্বের সংযোগ সড়কটিও ভাঙ্গতে শুরু করেছে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মানিকপীর ভক্তেরবাড়িতে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এছাড়াও গত অর্থবছরে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটির ১১ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তবে, মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য আপাতত একটি বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান।
×