স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মালিবাগের গুলবাগে বান্ধবীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার এক পর্যায়ে রুবিনা ইয়াসমিন নদী (২১) নামের এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে। তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বরিশালের আগৈলঝাড়া থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত। তাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগীতে। তিনি মালিবাগের গুলবাগের ৩৯১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় তার বান্ধবীর সঙ্গে সাবলেট ভাড়া থাকতেন। নিহতের বান্ধবী মারিয়া জানান, দুই বছর আগে সাইমুন নামের এক ছেলের সঙ্গে নদীর বিয়ে হয়। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এটা নিয়ে সে দীর্ঘদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিল। এছাড়া প্রায়ই তিনি বলতেন, এ জীবন রাখব না। পরপারে চলে যাব। তিনি জানান, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে ভিডিও কলে কথা বলার এক পর্যায়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয় নদী। পরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে ওই রুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বান্ধবী মারিয়া জানান, আমরা দুজন আমজাড়া নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম। ঘটনার দিন বিকেলে ভিডিও কল দিয়ে জানায় সে আত্মহত্যা করবে। ভয় পেয়ে দ্রুত অফিস থেকে বাসায় এসে দেখি দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙ্গে ভেতরে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। দুই ভাই বোনের মধ্যে নদী বড়। এ ব্যাপারে শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মমতাজ আলি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই নারী অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: