ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর নবী হোসেন হত্যা মামলায় নারীসহ দুইজনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২৫ জানুয়ারি ২০২১

কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর নবী হোসেন হত্যা মামলায় নারীসহ দুইজনের ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ ॥ পরকীয়ার জেরে দুই হাত, পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে চাঞ্চল্যকর নবী হোসেন হত্যা মামলায় নারীসহ দুইজনকে মৃত্যুদন্ড- এবং প্রত্যেককে দুই লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামীদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। দন্ড-প্রাপ্তরা হলো বি-বাড়িয়ার বিজেশ্বর গ্রামের মৃত মোহন পাঠান ওরফে আজাদ পাঠানের মেয়ে সুমনা বেগম ওরফে শীলা (২৮) ও একই এলাকার মৃত কাজী মমিন মাস্টারের ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম (৩৫)। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামী বি-বাড়িয়ার সরাইলের নরসিংপুর গ্রামের মৃত জহিরুল হকের ছেলে আশরাফুল হক রাসেল (৩৮) ও জেলার ভৈরব উত্তরপাড়ার মৃত আফছর উদ্দিনের ছেলে মোঃ শরীফ মিয়াকে (৪৮) বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, বি-বাড়িয়ার বিজেশ্বর গ্রামের মৃত দেওয়ান আলী ফকিরের ছেলে ভিকটিম নবী হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী সুমনা বেগম ওরফে শীলার সাথে একই এলাকার মৃত কাজী মমিন মাস্টারের ছেলে কাজী নজরুল ইসলামের পরকীয়া প্রেম চলছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ জেরে আসামীরা ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নবী হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে নিহতের হাত, পা ও মাথা শরীর হইতে বিচ্ছিন্ন করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে ভৈরব বাজারস্থ মেঘনা নদীরপাড়ে বেড়ীবাধ এলাকার রাস্তার পশ্চিমে একটি গুদামের কোণায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ও সুরহাল রিপোর্ট তৈরিসহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পরদিন ভৈরব থানার এসআই মোঃ হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ও সিআইডি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামীদের খুঁজে বের করতে মাঠে নামে। একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার এসআই আবুল খায়ের আকন্দ ২০১৫ সালের ৫ মে চার্জশীট (নং-১৩৫) এবং সিআইডির এসআই কাজী নজরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত চার্জশীট (নং-২১) দাখিল করেন। সাক্ষ্য-জেরা শেষে সোমবার আদালতের বিচারক উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামিপক্ষে এ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ ও এ্যাডভোকেট জহিরুল হক মামলাটি পরিচালনা করেন।
×