ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অভিনেতা কাদের দেশে ফিরে ফের হাসপাতালে

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

অভিনেতা কাদের দেশে ফিরে ফের হাসপাতালে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ক্যান্সারে আক্রান্ত অভিনেতা আবদুল কাদের ভারতে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছেন। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে দেশে ফেরার পর তার পরিবার তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিনেতা আবদুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’। খবর বিডিনিউজের। আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেনি বলেন, ‘আব্বার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তার রক্তের হিমোগ্লোবিন ক্রমশ কমছে। কেমোথেরাপি দেয়ার কথা ছিল চেন্নাইতে। চিকিৎসকরা সব দিক বিবেচনা করে জানালেন, আব্বার শারীরিক অবস্থায় কেমোথেরাপি দেয়া সম্ভব নয়।’ ১৯৫১ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থানার সোনারং গ্রামে অভিনেতা আবদুল কাদেরের জন্ম। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল ও মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন। স্ত্রীর নাম খাইরুননেছা কাদের। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তার নাতনি সিমিন লুবাবাও এখন অভিনয় জগতে নাম লিখিয়েছে তারই হাত ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর তিনি সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন। পরে বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন। বিটপী ছেড়ে পরে তিনি বাটায় যোগ দেন ১৯৭৯ সালে; সেখানে ছিলেন ৩৫ বছর। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ডাকসু নাট্যচক্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সাল থেকে থিয়েটার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য এবং চার বছর যুগ্ম-সম্পাদকের ও ছয় বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি থিয়েটারের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অভিনীত মঞ্চনাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই, স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’। এছাড়া দেশের বাইরে জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, কলকাতা, দিল্লী, দুবাইয়ের মঞ্চেও তিনি বাংলা নাটকে অভিনয় করেছেন। বিটিভিতে শিশু-কিশোরদের জন্য নাটক ‘এসো গল্পের দেশে’-এর মাধ্যমে টিভি নাটকে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। মঞ্চে ৩০টি ও টিভি নাটকে তিনি তিন হাজারের মতো নাটকে অভিনয় করেছেন। বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তেও নিয়মিত মুখ তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর তিনি সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন। পরে বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন। বিটপী ছেড়ে পরে তিনি বাটায় যোগ দেন ১৯৭৯ সালে; সেখানে ছিলেন ৩৫ বছর। আবদুল কাদের বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাট্যশিল্পী ও নাট্যকারদের একমাত্র সংগঠন টেলিভিশন নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার সংসদের (টেনাশিনাস) সহ-সভাপতি। আবদুল কাদের অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘মাটির কোলে’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘শীর্ষবিন্দু’, ‘সবুজ সাথী’, ‘তিন টেক্কা’, ‘যুবরাজ’, ‘আগুন লাগা সন্ধ্যা’, ‘এই সেই কণ্ঠস্বর’, ‘আমার দেশের লাগি’, ‘সবুজ ছায়া’, ‘দীঘল গায়ের কন্যা’, ‘ভালমন্দ মানুষেরা’, ‘দূরের আকাশ’, ‘ফুটানী বাবুরা’, ‘এক জনমে’, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘ফাঁপড়’, ‘চারবিবি’, ‘সুন্দরপুর কতদূর’, ‘ভালোবাসার ডাক্তার’, ‘চোরাগলি’, ‘বয়রা পরিবার’ ইত্যাদি। ২০০৪ সালে আবদুল কাদের অভিনয় করেন ‘রং নাম্বার’ চলচ্চিত্রে। অভিনয়ের পাশাপাশি কিছু বিজ্ঞাপনের কাজও করেছেন এ সফল অভিনেতা। দীর্ঘ অভিনয় জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে টেনাশিনাস পদক, মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরাম পদক, অগ্রগামী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পদক, যাদুকর পি.সি. সরকার পদক, টেলিভিশন দর্শক ফোরাম এ্যাওয়ার্ড, মহানগরী এ্যাওয়ার্ডসহ কিছু পদকও পেয়েছেন আবদুল কাদের।
×