ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশিত: ২২:১২, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত দিবস আজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ১৩ ডিসেম্বর ॥ ১৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত দিবস। বর্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী পরাজিত করে ৭১’-এর ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে স্বাধীন বাংলা পতাকা উড়িয়ে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয় জয়পুরহাটকে। ৭১’-এর ২৪ এপ্রিল পাক হানাদাররা রাতে সান্তাহার থেকে ট্রেনযোগে এসে দখলে নেয় জয়পুরহাট। ওই দিন সকাল থেকেই হানাদাররা শুরু করে জয়পুরহাটে হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ। প্রথম দিন স্থানীয় স্বধানীতাবিরোধীদের সহযোগিতায় হত্যাযজ্ঞ চলায় পাকিস্তানী বর্বর হানাদার বাহিনী জয়পুরহাট শহরে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর বিরদ্ধে ৯ মাস কখনও গেরিলা ও কখনও সম্মুখযুদ্ধ করে মুক্ত করে জয়পুরহাটকে। ১৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ভূইডোবা সীমান্ত দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা পাঁচবিবি হয়ে জয়পুরহাটে প্রবেশ করেন। তারা পাঁচবিবি থানা ভবনে স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর এসে জয়পুরহাট ডাকবাংলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সান্তাহার নিজস্ব সংবাদদাতা সান্তাহার থেকে জানান, ১৪ ডিসেম্বর অবাঙালী (বিহারী) অধ্যুষিত বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর কবল থেকে অবরুদ্ধ সান্তাহার জংশন শহরকে মুক্ত করেন। স্বাধীনতার যুদ্ধে সান্তাহার জংশন শহরের ইতিহাস গৌরবময়। দেশের বৃহৎ অবাঙালী (বিহারী) অধ্যুষিত শহর হওয়ায় এখানে পাকিস্তানী হানাদার সেনারা বড় ঘাঁটি স্থাপন করে। এখান থেকে তারা নিয়ন্ত্রণ করতো আশপাশ অঞ্চল। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে এখানকার অবাঙালীদের অত্যাচার ছিল অবর্ণনীয়। তিন দিক থেকে খণ্ড খণ্ডভাবে সান্তাহার শহরে অবস্থিত হানাদার পাকিস্তানী সেনা ও বিহারীদের ওপর হামলা চালিয়ে ঘিরে ফেলে। ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে হানাদারর পাকিস্তানী সেনা ও বিহারীরা সান্তাহার শহর ছেড়ে নওগাঁর দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এর মাধ্যমে হানাদার মুক্ত হয় রেডিও বিবিসি খ্যাত সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহর। আমতলী নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা থেকে জানান, ৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বরগুনার আমতলী থানা হানাদার মুক্ত হয়েছিল। আজ আমতলী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পুলিশ ও রাজাকার বাহিনী হটিয়ে আমতলী থানা মুক্ত করেন। ওইদিন সকাল ৮টার দিকে আফাজ উদ্দিন বিশ্বাস আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং উপস্থিত জনতা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আমতলী থানাকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করেন। আমতলী মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
×