ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশ্ন মেননের

পাকিস্তানে জিন্নাহর ভাস্কর্য থাকলে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নয় কেন?

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

পাকিস্তানে জিন্নাহর ভাস্কর্য থাকলে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নয় কেন?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণপ্রতিরোধের মুখে পড়ে রাজনৈতিক ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি দিয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। শনিবার পার্টির পলিট ব্যুরোর সাবেক সদস্য বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতা শফিউদ্দীন আহম্মেদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা থেকে ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমলে যখন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে দেশবাসী রুখে দাঁড়িয়েছিল, তখন এরাই ফতোয়া দিয়েছিল মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার অর্থ হবে মসজিদ ভাঙ্গার সমান। তিনি বলেন, তাদের প্রতি আমার পরামর্শ হলো পাকিস্তান গিয়ে জিন্নাহর ভাস্কর্য হারাম বলে ভাঙ্গার ফতোয়া দিন। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আপনাদের ফতোয়া কেউ নেবে না। জনরোষে পড়বেন। স্মরণ সভায় মেনন বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানে জিন্নাহর ভাস্কর্য থাকতে পারলে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গা হবে এটা হতে পারে না। আসলে তারা তাদের অতীতকে ভুলতে পারে নি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে একাত্তরে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তেমনি হেফাজতসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী ও স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে তাদের একাত্তরের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন। এই সকল আলেমদের ফতোয়া দেয়ার আইনগত কোন অধিকার নেই মন্তব্য করে প্রগতিশীল এই বাম নেতা বলেন, সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপীল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আদেশ দিয়েছিলেন, একমাত্র ইসলামী ফাউন্ডেশনই ফতোয়া দেয়ার সামর্থ্য রাখে। তারা এখানেও আইন ভাঙল, আমরা আশা করি তাদের আইন ও সংবিধানবিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি নজরুল হক নিলু। সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা নেতা মোজাম্মেল হক ফিরোজ, জাকির হোসেন, ফাইজুল হক বারি ফারাহিন, গোলাম হোসেন, শাহিন হোসেন, এইচ এম হারুন, দিলিপ রাজা, ছাত্রমৈত্রী নেতা শামিল শাহরোখ তমাল, মিন্টু দে প্রমুখ। স্মরণসভায় আবুল হোসেন এবং সিরাজুল ইসলামকেও স্মরণ করা হয়।
×