ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পরিশোধিত টাকাও যোগ হচ্ছে পরের বিলে

সৈয়দপুরে বিদ্যুতের বিল নিয়ে ভোগান্তি গ্রাহকদের

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

সৈয়দপুরে বিদ্যুতের বিল নিয়ে ভোগান্তি গ্রাহকদের

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ৪ ডিসেম্বর ॥ সৈয়দপুরে পল্লী বিদ্যুতের প্রতিমাসের বিল পরিশোধ করা হলেও পুনরায় পরের মাসে যোগ করে দেয়া হচ্ছে পরিশোধিত বিল। সমাধানে গ্রাহকরা অফিসে ছোটাছুটি করলেও বন্ধ হচ্ছে না পরিশোধিত বিলের সমস্যা। সংশ্লিষ্টদের খাম-খেয়ালিপনায় দিন দিন ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়লেও দেখার যেন কেউ নেই। রংপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর আঞ্চলিক তারাগঞ্জ কার্যালয় সূত্র মতে, এখানে আবাসিক, বাণিজ্যিক, নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ চাপ মিলে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এ গ্রাহকদের মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর, কামারপুকুর, বোতলাগাড়ি এবং কাশিরাম বেল পুকুরে প্রায় ৫০ হাজার আবাসিক গ্রাহক। এ সকল গ্রাহকরা প্রতিমাসে তাদের বিল মেয়াদের মধ্যেই পরিশোধ করেন। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ প্রতিমাসের বিল পরিশোধ করা হলেও পুনরায় ওই পরিশোধিত বিদ্যুত বিলের টাকা নতুন মাসে যোগ করে দেয়া হচ্ছে। এতে সামান্য ব্যবহারের পর দ্বিগুণ বিল পরিশোধ করতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। এ নিয়ে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মোঃ আঃ আজিজ নামে এক আবাসিক গ্রাহক (হিসাব নং ১৯১-১১৮৫) জানান, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ১৩৪০ টাকা বিল দেয়া হয়। পরিশোধ করা হয় বরাদ্দকৃত সময়ের মধ্যেই। তার পরেও পরিশোধিত ওই বিদ্যুত বিল পরের মাসে যোগ মোট ২৩৯০ টাকা প্রদান করেন কতৃপক্ষ। তিনি আরও জানান, এর আগেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৩৮ টাকা বিল পরিশোধ করার পরেও মার্চে নতুন বিলের সঙ্গে যোগ করা হয়। পরে রংপুরের তারাগঞ্জ জোনাল অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর ঠিক করে দেয়া হয়। এতে ব্যাপক হয়রানি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ গ্রাহককে। উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর বালাপাড়ার মোঃ মোকছেদুল (হিসাব নং ৯৮৫-৩২৮) নামে আবাসিক গ্রাহক জানান, এ বছরের জুন ও জুলাই মাসের বিল একত্রে বকেয়াসহ মোট ২৫৪ টাকা পরিশোধ করি। তারপরেও ওই বিল সংযোগ দিয়ে অক্টোবর মাসে মোট ৬১৩ টাকা বিদ্যুত বিল দেয়া হয়। একই অভিযোগ করেন মোঃ নুর ইসলাম (হিসাব নং ৫০১-১৫৩৫) ও লক্ষনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজানসহ এ উপজেলার প্রায় শতাধিক আবাসিক বিদ্যুত গ্রাহক। তারা আরও জানান, পরিশোধিত বিল পরের মাসে যোগ হলে এর বিলম্ব মাসুলের পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেকে বিদ্যুতের ইউনিট হিসাব বোঝে না। তারা পরিশোধিত বিলও পরের মাস পরিশোধ করছে। পাশাপাশি এ উপজেলা থেকে অফিসে গিয়ে বিল সংশোধনে আর্থিক ক্ষতিসহ ব্যাপক হয়রানি হতে হয়। এভাবে এ অফিসের অবহেলায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কথা হয় রংপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর তারাগঞ্জ অঞ্চলের এজিএম এ্যান্ড মেইনটেন্স বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে। তিনি জানান, বিলিং সেকশনটি আমার নয়। তারপরেও সমস্যা নিরসনে সহায়তা করা হবে। তবে রংপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর ডিজিএম মোঃ আশরাফুল হক গ্রাহকদের এ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন। বিকাশের মাধ্যমে যারা পরিশোধ করছেন সফটওয়্যার সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে। নতুন সফটওয়্যার চাওয়া হয়েছে। পেলেই এমন সমস্যা কেটে যাবে।
×