স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া ফাসিয়াখালী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্র্ধষ ডাকাতি সংগঠিত ঘটেছে। ডাকাতের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১৬ জন যাত্রী। বাসটি যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসার পথে শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপর ১০ জনকে প্রথম কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজন যাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক। যাত্রীরা জানান, সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অন্তত ২০টি মোবাইল ও চার নারী যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে। শুক্রবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী পাহাড়ি ঢালা থেকে শুরু করে চকরিয়ার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন খুটাখালীর ফুলছড়ি নতুন অফিস বাজার পর্যন্ত এই ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়। বাসটিতে ৭ জন ডাকাত ছাড়া ৩৭ জন যাত্রী ছিলেন। এসব যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন কেউ ব্যবসায়ী, আবার কেউ পর্যটক ও চাকরিজীবী। ডাকাতের গুলিতে আহতরা হলেন- টেকনাফ সাবরাং পানছড়ির এজাহার আহমদের পুত্র আবদুল্লাহ আল মামুন। একটি গুলি সরাসরি তার পেটে বিদ্ধ হয়। হাতে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব উদ্দিন নামে আরেক যাত্রী।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লাহর মনু খানের পুত্র বিল্লাল হোসেন জনি। তিনি দুর্র্ধষ এই ডাকাতির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই বাসের ভুক্তভোগী যাত্রী। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই নুরেখোদা সিদ্দিকী জানান, কী পরিমাণ টাকা, মোবাইল, অলঙ্কার লুট করা হয়েছে তা বিস্তারিত তদন্তের পর জানা যাবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসের চালক ও হেলফারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
চকরিয়ায় থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসছিল। চট্টগ্রামের নতুন সেঁতু এলাকা থেকে ওই বাসে যাত্রীবেশে ওঠা ডাকাতরা চকরিয়া ফাসিয়াখালী এলাকায় পৌছার পর বাসের ভিতর এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। ওসি জানান, ডাকাতদের ধরতে চকরিয়া থানার একাধিক টীম মাঠে নেমেছে।
