ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি

সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক জলিল গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ২২ নভেম্বর ২০২০

সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক জলিল গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য এনে বিপুল অঙ্কের অর্থের মালিক বনে যাওয়া সেই আমদানিকারককে ঢাকায় গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তথ্য প্রযুক্তি আইনে এ সংক্রান্তে দায়ের হওয়া মামলায় এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৬ জন গ্রেফতার হলো। শনিবার গ্রেফতারকৃত ঢাকার চকবাজারের সেই আমদানিকারকের নাম মোঃ জলিল। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম সিয়াম এন্টারপ্রাইজ। তিনিই রয়েছেন এর মালিকানায়। এ প্রতিষ্ঠানের নামে চলতি বছরের শুরুর দিকে ১৩ হাজার ৫২০ কেজি চীনা বাদাম ও ৪ হাজার ৫১০ কেজি জলপাইর একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। কিন্তু চালানটি কায়িক পরীক্ষায় ঘোষণাবহির্ভূত উচ্চশুল্কের ২১ হাজার ৬০টি গুঁড়োদুধ পায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ফলশ্রুতিতে আমদানিকারককে শুল্ক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা এবং শতভাগ জরিমানা বাবদ আরও ৬৬ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা বিমোচন জরিমানা করা হয়। এছাড়া আমদানিকৃত পণ্যের চালানটি খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা আমদানি-রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের ক্লিয়ারেন্স পারমিট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ১১ অক্টোবর সিয়াম এন্টারপ্রাইজের পক্ষে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পণ্য ছাড়পত্র সনদ দাখিল করে। দুদিন পর অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিও দাখিল করা হয়। এর পর কাস্টমসের অডিট এ্যান্ড রিসার্চ শাখা যাচাই-বাছাই করার পর বেরিয়ে আসে ক্লিয়ারেন্স পারমিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ভুয়া। ফলশ্রুতিতে গত ২৯ অক্টোবর কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি করা হয় সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক এবং সিএন্ডএফ প্রতিনিধি চট্টগ্রামের খান এন্টারপ্রাইজের মালিককে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। তদন্তের শুরুতে সিআইডি ৩ জনকে গ্রেফতার করে। এদের দেয়া বক্তব্যে জালিয়াতির রহস্য বেরিয়ে আসে। এর পর দু’দফায় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আমদানিকারক ছাড়া বাকি ৫ জন হচ্ছে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলাম মওলা খান ও তার ছোট ভাই গোলাম রসুল খান, ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরিকারী আবুল খায়ের পারভেজ এবং খান এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স ব্যবহার করে চালান খালাস কাজে জড়িত আতিকুর রহমান রাসেল ও রাহাত হায়দার চৌধুরী রানা।
×