ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আরও ৩৫ জনের মৃত্যু

দেশে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের উর্ধগতি থামছে না

প্রকাশিত: ২২:০৯, ৭ জুন ২০২০

দেশে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের উর্ধগতি থামছে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের উর্ধগতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫ জনের মৃত্যু এবং ২৬৩৫ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৮৪৬ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩ হাজার ২৬ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৫২১ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৩ হাজার ৩২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৪৮৬টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় শনিবার নতুন রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকা বিভাগের। শনিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ১১-২০ বছরের ২ জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন এবং বরিশাল বিভাগে ২ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ২৫ জন এবং বাসায় মারা গেছেন ৯ জন। আর মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৭৭.০৬ শতাংশ এবং নারী ২২.৯ শতাংশ। অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩১৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭ হাজার ১৬২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৮ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ১ হাজার ৭৮৯ জনকে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৯ হাজার ২২২ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৮১১ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৯২৫ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৬ হাজার ২৯৭ জন। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে। আক্রান্তে বেশি ২১-৩০ বছর বয়সীরা- স্বাস্থ্য অধিদফতর ॥ অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, লিঙ্গভেদে শনাক্তের হার পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ২৮ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৭ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মৃতের হার বেশি- স্বাস্থ্য অধিদফতর ॥ অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, ১ থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃতের হার দশমিক ৮২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সীদের ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৬১ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যুর হার ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ঢাকা সিটিতে সর্বোচ্চ রোগী মিরপুরে- আইইডিসিঅ ॥ আইইডিসিআর জানায়, মিরপুরে ৬০২ জন, মহাখালীতে ৪৫৭ জন, উত্তরায় ৪৩৩ জন, মুগদায় ৪২৮ জন, মোহাম্মদপুরে ৩৯৪ জন, যাত্রাবাড়ীতে ৩৮৭ জন, কাকরাইল ৩০০ জন, ধানম-িতে ২৯৪ জন, মগবাজার ২৫৫ জন, তেজগাঁও ২৫১ জন, রাজারবাগে ২২১ জন, খিলগাঁওয়ে ২১৯ জন, লালবাগে ২০৬ জন, রামপুরায় ১৯৭ জন, বাড্ডায় ১৯৫ জন, বাবুবাজারে ১৬২ জন, বাসাবোতে ১২২ জন, বংশালে ১০৯ জন, আগারগাঁওয়ে ১০৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
×