ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ২২ মে ২০২০

উবাচ

বড় লোকরা ফকির স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন দেশের বড় লোকরা সব থেকে বড় ফকির। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বিত্তবানরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না বলেই তিনি এ কথা বলেন। মান্না এই সঙ্কটকালে দেশের বিত্তবানদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এক বিল গেটস দিয়েছেন ৪৪ বিলিয়ন ডলার। চীনের জ্যাক মা ৪০ বিলিয়ন, ভারতের শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান দিয়েছেন ২০০ কোটির উপরে। যদিও মান্না সব সময় যেমন অতিরঞ্জিত করে কথা বলেন এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম করেননি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিল গেটস করনো মোকাবেলায় ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন। বিল গেটস এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। এখন পর্যন্ত বিল এ্যান্ড মেরিন্ডা গেটস জনসেবা মূলক কাজে দান করেছেন ৪১ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে জ্যাক মা করোনা মোকাবেলায় এক কোটি ৪০ লাখ ডলারের তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন। এর পরিমাণও ১৪ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু মান্না এরমধ্যে বিলিয়ন পেল কোথায়। যাই হোক তিনি মিলিয়ন আর বিলিয়নে গুলিয়ে ফেলেছেন। এতে প্রমাণিত মাহমুদুর রহমান মান্না আজকাল পৃথিবীর ধনী মানুষদের নিয়ে চাপাবাজি করে দেশের ধনীদের খাটো করতে চাইছেন। প্রতিদিন স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা বুলেটিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পিপিই এবং কিট প্রদানের কথা তুলে ধরে। এখানে বোঝা যায় দেশের বিত্তবানরা এই সঙ্কটে বসে নেই। একই সঙ্গে যে যার মতো করে ত্রাণ দিচ্ছেন পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দিচ্ছেন। একটি শিল্প গ্রুপ তো নিজেদের অবকাঠামো ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য। এসব কি মানুষের পাশে দাঁড়ানো নয়? হিংসা হয় স্টাফ রিপোর্টার ॥ এই সঙ্কটে বিএনপি কোথায়, এমন প্রশ্ন উঠেছে বার বার। বিএনপি বলতেই এক রুহুল কবির রিজভী তিনি কয়েক প্যাকেট এবং কয়েকটি টিভি ক্যামেরা আর গুটি কয়েক নেতাকর্মী নিয়ে বের হন। নির্দিষ্ট কোথাও দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ভিডিও করে একটু সরকারের সমালোচনা করে জানান দেন আমরা আছি। এই থাকাকে কি সত্যিই থাকা বলে! এমন প্রশ্ন উঠেছে। দলের মহাসচিব কোথায়, জানা গেল তিনি পড়ার টেবিলে ফিরে গেছেন। ছোয়াচে করোনার ভয়ে অন্য নেতাকর্মীদের তো অনলাইনেও পাওয়া যায় না। তাহলে বিএনপি গেল কই এমন প্রশ্ন ওঠাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তেঁতে উঠেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি মানুষের কল্যাণে কাজ করছে দেখে আওয়ামী লীগ সরকার হিংসায় মরে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রফতার ও গুম করা হচ্ছে। রিজভীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় বিএনপি মানুষের পাশে থাকতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সাধারণের কাছ থেকে সহানুভূতি আদায়ের কি প্রাণনান্তকর প্রচেষ্টা। দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তা দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, এখানেও চলছে বাটপাড়ি, ৪০ জনের টাকা যাবে একজনের বিকাশ নম্বরে। সেটা একজন মেম্বারের নম্বর। রিজভীর কথা আংশিক সত্য। একজন নয় এমন অনেকেই করেছিল। কিন্তু তাদের কেউ কি টাকা পেয়েছে। সরকারই এটি খুঁজে বের করেছে এসব ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায়ও আনা হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে। এক নাম্বারে একবারের বেশি কাউকে টাকা দেয়া হয়নি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে নামের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নাম্বার যাদের মিলেছে তারাই টাকা পেয়েছে। আর যারা এমন অপকর্ম করেছে তারা কেউ টাকা পাননি। আফসোস হচ্ছে রিজভী অভিযোগ শোনেন নিষ্পত্তির খোঁজ রাখেন না। কেউ কেউ তো বলেনই রিজভী কবে সত্যি বলা শিখবি। গলাবাজ স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথার রাজা বাকপটু বিএনপির যে গলাবাজি ছাড়া আপাতত আর কিছুই নেই এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আন্দোলন ও নির্বাচনের ব্যর্থ হয়ে বৈশ্বিক সঙ্কটকে পুঁজি করে রাজনীতির অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে বিএনপি। পৃথিবীর কোন দেশের বিরোধী দল বিএনপির মতো আচরণ করছে না। তারা সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছে। কিভাবে এই সঙ্কট মোকাবেলা করা যায়। তবে যারা নির্বাচনের একেবারে কাছাকাছি রয়েছেন তাদের কথা আলাদা। ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার যখন সকলকে নিয়ে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না। জনগণ জানতে চায় কথামালা চাতুরি আর প্রেসব্রিফিং ছাড়া বিএনপি অসহায় মানুষের জন্য কি করেছে? চৌকস কথার ফুলঝুরি আর গলাবাজি ছাড়া দেশ ও জাতিকে বিএনপি কি দিতে পেরেছে?’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব ক্ষণে ক্ষণে বিদেশের কথা বলেন। অনেক দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো করোনা তহবিল গঠন করে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনারা কি করেছেন তা জাতি জানতে চায়। বরাবরের মতো নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের মরিচা ধরা অকার্যকর হাতিয়ার ব্যবহার করছেন।
×