ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পিপিই পাওয়া হাসপাতালের তালিকা প্রকাশের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ২৫ এপ্রিল ২০২০

 পিপিই পাওয়া হাসপাতালের তালিকা  প্রকাশের  আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা রোগীদের চিকিৎসার শুরু থেকে চিকিৎসকসহ প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) না পাওয়ার অভিযোগ করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে কোন প্রতিষ্ঠানে কত সংখ্যক পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে সেই তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে আর্টিক্যাল নাইনটিন। একইসঙ্গে পিপিইর সঙ্কটসহ করোনা ব্যবস্থাপনার ত্রুটি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের নেয়া নিবর্তনমূলক পদক্ষেপের বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মত প্রকাশ ও তথ্যের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করা এ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। শুক্রবার সংস্থাটির ঢাকা অফিস গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, করোনার মতো বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সঙ্কট মোকাবেলায় সম্মুখ সারিতে আছেন চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী। করোনার সংক্রমণ এড়িয়ে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এসব স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক সুরক্ষা উপকরণ তথা পিপিই অত্যাবশ্যক। তাই পিপিই বিতরণের ক্ষেত্রে এর যথাযথ মান ও বিতরণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে আর্টিক্যাল নাইটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, করোনা মোকাবেলা সম্পর্কিত কর্ম পরিকল্পনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ‘যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি নিজেরা ও আপনজন হচ্ছেন, সে সম্পর্কে জানার এবং বোঝার অধিকার মানুষের রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঝুঁকি মোকাবেলার এ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণের অধিকারও তার রয়েছে।’ অর্থাৎ করোনা মোকাবেলার অংশ হিসেবে কোথায় কি পরিমাণ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে তা স্বাস্থ্যকর্মী তথা দেশের সাধারণ মানুষ জানতে চাইতেই পারেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, তথ্যের অধিকার একটি মৌলিক মানবাধিকার এবং সঠিক তথ্যের প্রয়োজনও এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি। করোনার মতো জরুরী পরিস্থিতিতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে না পারলে স্বাস্থ্যসেবা যেমন ব্যাহত হবে, তেমনি সঠিক তথ্যের অভাবে ভুল তথ্য এবং ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য অধিদফতর ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ১০ লাখেও বেশি পিপিই বিতরণের তথ্য নিশ্চিত করেছে। অধিদফতরের তথ্য মতে, সারাদেশে সরকারী চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী আছেন ৮২ হাজার ৫১ জন। এ হিসেবে একজনের গড়ে অন্তত ১২টি পিপিই পাওয়ার কথা। আর্টিক্যাল নাইনটিন লক্ষ্য করেছে, এ বিপুল পরিমাণ পিপিই বিতরণের সরকারী তথ্যের বিপরীতে দেশজুড়ে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছেন, তারা কোন পিপিই পাননি। যারা পেয়েছেন, তারাও পিপিইর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মানসম্মত মাস্ক ও পিপিই সরবরাহ না পাওয়া নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ১৮ এপ্রিল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এ্যানেসথেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক আবু তাহেরকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
×