ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ জুন দেশে আসছে

জাপানে মেট্রোরেলের ‘ফ্যাক্টরি ট্রায়াল রান’ শুরু

প্রকাশিত: ১১:২২, ২০ মার্চ ২০২০

জাপানে মেট্রোরেলের ‘ফ্যাক্টরি ট্রায়াল রান’ শুরু

রাজন ভট্টাচার্য ॥ রাজধানীর যানজট নিরসনে নির্মাণাধীন মেট্রো রেল প্রকল্পের আরেকধাপ অগ্রগতি হয়েছে। মুজিব শতবর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাপানে বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রো রেলের ‘ফ্যাক্টরি ট্রায়াল রান’ শুরু হয়েছে। সকল ধরনের ফ্যাক্টরি টেস্ট সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ১৫ জুন প্রথম মেট্রো ট্রেনটি দেশে আসছে। বুধবার রাতে জাপানে উড়াল মেট্রো রেলের পরীক্ষামূলক পরিচালনা সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির কারখানায় এটি পরিচালনা করে দেখা হয়। এরপর বুধবার রাতে মেট্রো রেল বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাপানে বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রো রেলের ফ্যাক্টরি ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। ছয়টি কোচ সংবলিত মেট্রো রেল স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি। এতে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙের প্রাধান্য রয়েছে। ট্রেনটির সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণক্ষমতা দুই হাজার ৩০৮ জন। ভিডিওতে দেখা গেছে, লাল সবুজের ট্রেনটি কারখানার ভেতরে আস্তে আস্তে চালানো হচ্ছে। এতে ট্রেনের বাইরের অংশ ভাল করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। কিন্তু আমরা আগামী বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমাদের দেশের পাশাপাশি জাপানেও এর কাজ চলছে। আমাদের যে টার্গেট সে অনুযায়ী আমরা উনাদের ওয়ার্ক প্ল্যান দিয়েছি। সে অনুযায়ী তারা কাজ করছেন। কয়েকটি কোচের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন সেখানে ট্রায়াল চলছে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম নামে একটি প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেলের কোচগুলো সরবরাহ করবে। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঙালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ লাল-সবুজের আদলে কোচ প্রস্তুতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির নির্ধারিত কারখানায় ৬টি কোট কোচ প্রস্তুত শেষে এখন ট্রায়াল দিচ্ছে। আগামী জুনের মাঝামাঝি সময়ে কোচগুলো দেশে আনা হবে। মেট্রো রেলের ট্র্যাক নির্মাণ শেষ হওয়ার পর তাতে তৈরি কোচগুলো বসিয়ে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে। এরপর যানজটের শহরে চলাচল শুরু করবে স্বপ্নের মেট্রোরেল।
×