ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের বৈশ্বিক স্বপ্ন ভেঙ্গে দিতে পারে সহিংসতা

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ৭ মার্চ ২০২০

  ভারতের বৈশ্বিক স্বপ্ন ভেঙ্গে দিতে পারে সহিংসতা

সহিংসতা ভারতের বৈশ্বিক উচ্চাভিলাষের পথে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদীয়মান শক্তি হিসেবে চিত্রিত করার প্রচারণা দেশটিতে কিছু সঙ্কট সত্ত্বেও সচল আছে বলে এতদিন ধারণা করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধীপক্ষের কয়েক শ’ রাজনীতিবিদকে ধর-পাকড় করার ঘটনায় বিশ্বে অধিকাংশ দেশই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। ব্যবসায়ী নির্বাহী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা সরকারের অর্থনৈতিক কৌশলের বিষয়ে মুখ খুলতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছেন। এদিকে গণমাধ্যমগুলো অভিযোগ করছে, সরকার তাদের হুমকি দিচ্ছে। এই তো গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়াদিল্লীতে মোদির সঙ্গে কোলাকুলি করেন, সেখানের একটি সড়কের পোস্টারে লেখা ছিল ‘বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন গণতন্ত্রের দেশ, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।’ তবে বিশ্ব নেতারা ভারতের রাজধানীতে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতকালে মুসলিম বিক্ষোভকারীদের পর হিন্দুরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া একটি গ্রুপ জানায়, ভারত সরকার হিন্দু জাতীয়বাদীদের উদ্দেশ্য পূরণ করছে এবং দেশটির গণতন্ত্রের ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’ এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ভারতের সুপ্রীমকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। দেশটির বেশ কিছু কাছের অংশীদার মুসলিম ও অভিবাসীদের সঙ্গে এরূপ হেন আচরণ করায় ভারতের কড়া সমালোচনা করছে। ইন্ডিয়ান-আমেরিকান কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সদস্য ও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট সদস্য রিপ্রেজেনটেটিভ এমি বেরা বলেন, ‘ভারত যদি তার গণতন্ত্রের পরিচয় ভুলে যায়, এশিয়ায় তাহলে অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের পার্থক্য থাকবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দিল্লীর দাঙ্গা পর্যবেক্ষণ করছি এবং এটা ভেবে উদ্বিগ্ন যে, তারা ধীরে ধীরে একটি বিপদসঙ্কুল পথ ধরে এগোচ্ছে, যেটি ভারতের বিষয়ে আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে।’ বেরা বলেন, ‘তারা (ভারত) যদি বৈশ্বিক শক্তি হতে চায় তাহলে তাদের কিছু দায়বদ্ধতা থাকতে হবে।’ যদিও ভারতে সাম্প্রতিক সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়তে হয়নি ভারতকে, তবুও দিল্লীর ওই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকারের উদ্দেশ্যের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ খুলে দিয়েছে। তবে এ অস্থিতিশীল অবস্থা দেশটিতে বৃহত্তর পর্যায়ের বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি করতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। -নিউইয়র্ক টাইমস
×