তরুণ নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক হাবিব তাড়াশী। নিরলস নাট্যচর্চায় নিজেকে রেখেছেন ব্যাপৃত। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ৪ দিনব্যাপী ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসব শুরু হচ্ছে আগামীকাল। এই আয়োজনের আহ্বায়ক তিনি। তার সঙ্গে কথা হয়।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসব সম্পর্কে বলুন
হাবিব তাড়াশী : ‘শিক্ষা ও শিল্পের আলো, ছড়াব আমরা তারুণ্যোর জয়গানে’ স্লোগান নিয়ে শুরু হচ্ছে ৪ দিনব্যাপী এ উৎসব শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায়। ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ১৬টি নাটক নিয়ে এবং ১৫টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে ৪টি করে নাটক মঞ্চায়িত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য উৎসবের সকল পরিবেশনা উন্মুক্ত। উৎসবের আয়োজক বাংলা কলেজ যুব থিয়েটার, সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার এ্যাসোসিয়েশন।
নাটকগুলোর বিষয়বস্তু ও দল বাছাই প্রক্রিয়া কী?
হাবিব তাড়াশী : নাটকের বিষয়বস্তু সাহিত্য ও সমসাময়িক। যে নাটকগুলোতে সমকাল ও মহাকালের মানচিত্র ফুটে উঠবে। এই উৎসবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন ও হেনরিক ইবসেনের সাহিত্যনির্ভর নাটক যেমন রয়েছে তেমনি ক্যাম্পাস থিয়েটারের তরুণ নাট্যকারদের নাটকও মঞ্চায়িত হবে।
উৎসবে আপনাদের লক্ষ্য ও উদেশ্য কী?
হাবিব তাড়াশী : আমাদের উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাদক, সন্ত্রাস থেকে ফিরিয়ে তাদের সুস্থ, সৃজনশীল ও মানবিক করে গড়ে তোলা। শিক্ষার্থীদের থিয়েটার চর্চায় উৎসাহিত করতে চাই।
উৎসবে নাটক ছাড়া আর কী কী থাকছে?
হাবিব তাড়াশী : মুজিববর্ষে ক্যাম্পাস থিয়েটারের করণীয় বিষয়ে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম এবং ক্যাম্পাস থিয়েটার ভিত্তিক নাট্য কর্মশালা ও ক্যাম্পাস থিয়েটার আড্ডা।
উৎসবে ক্যাম্পাস থিয়েটার কী নাটক করবে?
হাবিব তাড়াশী : ‘মুজিব মানে মুক্তি’, ‘বনকাব্য’ এবং একটি ফুল’, ‘এ ডলস হাউস’, ‘তোলা সুন্দরী’, ‘তেঁতুল গাছ’, ‘নষ্ট দেহের কমায়’, ‘বীরপালাৎ, ‘তৃতীয় নয়ন’, ‘লাঠিয়াল’, ‘বৃত্তের বাইরে’ এবং সমাপনী দিন ২৭ জানুয়ারি সঙ্গীত কলেজ থিয়েটারের নাটক ‘ভাবের হাট’, চিনাইর বঙ্গবন্ধু কলেজ নাট্যচক্রের নাটক ‘পদকের পদাঙ্ক’।
-গৌতম পান্ডে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: