ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

প্রকাশিত: ১২:১৮, ১০ জানুয়ারি ২০২০

 ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এবার শ্রম আইন  লঙ্ঘনের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শ্রম আইনের বিধান না মানায় গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তরিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার ওই আদালতের পেশকার মিয়া মোঃ জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এখনও কোন আদেশ হয়নি।’ মামলায় ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আ. হাই খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরি শংকরকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কারণে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত তিন কর্মীর পৃথক তিনটি মামলায় একই আদালত গত ৯ অক্টোবর ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এরপর ৩ নবেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি। নতুন মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল একজন পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স পরিদর্শন করে বিভিন্ন ত্রুটি দেখতে পেয়ে সেসব সংশোধনের নির্দেশনা দেন। তার প্রেক্ষিতে পর ৭ মে ডাকযোগে বিবাদী পক্ষ জবাব দেয়। এরপর মামলার বাদী একই বছরের ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটিতে পরিদর্শনে গিয়ে ১০টি বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পান এবং ২৮ অক্টোবর তা অবহিত করেন। তবে বিবাদী পক্ষ সময়ের আবেদন করেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব দাখিল করেনি। এতে বিবাদীরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩৩(ঙ) এবং ৩০৭ মোতাবেক দণ্ডণীয় অপরাধ করেছেন বলে মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন। গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের বিরুদ্ধে যেসব বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিধি মোতাবেক শ্রমিক/কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বই না দেয়া; শ্রমিকের কাজের সময় এর নোটিস পরিদর্শকের কাছ থেকে অনুমোদিত নয়, কোম্পানিটি বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক রিটার্ন দাখিল করেনি, কর্মীদের বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেক নগদায়ন করা হয় না। এছাড়া কোম্পানির নিয়োগবিধি মহাপরিদর্শক অনুমোদিত নয়, ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটি প্রদান-সংক্রান্ত কোন রেকর্ড/রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয় না, কোম্পানির মুনাফার অংশ ৫% শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠনসহ লভ্যাংশ বণ্টন করা হয় না, সেফটি কমিটি গঠন করা হয়নি, কর্মীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করালেও কোন ঠিকাদারি লাইসেন্স এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে লাইসেন্স নেয়া হয়নি।
×