ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াশার জন্য শাহজালালে ৬ ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

কুয়াশার জন্য শাহজালালে ৬ ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় প্রতিদিনই ঘন কুয়াশার দরুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। একসঙ্গে ৫/৬ ফ্লাইট আটকা পড়া এবং অবতরণ করায় দেখা দিচ্ছে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি। শুধু যাত্রী হয়রানি নয়, এজন্য প্রশাসনিক কাজ কর্মও বিঘিœত হচ্ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। এতে বিমানবন্দরের ভেতর ও বাইরে দেখা দিচ্ছে ভোগান্তি। এক সঙ্গে এতগুলো ফ্লাইটের ওঠানামা বন্ধ থাকায় আশপাশে দেখা দেয় যানজট। বিমান জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরেই এ সমস্যার শুরু। মঙ্গলবাার গভীর রাত থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। এতে বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। রাত ৩টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কোন বিমান ওঠানামা করতে পারেনি। বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্লেন ওঠানামা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে প্রায় ৬ ঘণ্টা প্লেন ওঠানামা করতে না পারায় সবকটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছাড়তে বিলম্ব হয়। এ ছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পারায় চট্টগ্রামে গিয়ে অবতরণ করে। অন্যদিকে কলকাতায় অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট। বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তৌহিদ-উল আহসান এ বিষয়ে বলেন, ঘন কুয়াশায় বিমান চলাচল কিছুটা বিঘিœত হচ্ছে। ফ্লাইটগুলো এদিক-সেদিক করতে হয়েছে। ঘন কুয়াশার দরুন সারাদিনই সব ধরনের ফ্লাইটের সিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। এদিকে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় উপর্যুপরি ঘন কুয়াশার দরুন গত এক সপ্তাহ ধরেই দেশী-বিদেশী এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যার জন্য খেসারত দিতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। বুধবার সকালে হাসান, রফিক ও সানা নামের তিন দর্শনার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তারা এসেছিলেন্ পঞ্চগড় থেকে। তাদের ফ্লাইট ছিল সকাল ৬টায়। সেটা আসে ৬ ঘণ্টা বিলম্বে। এ সময় তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে বাইরে খোলা আকাশের নিচে। টানা ৮ ঘণ্টায় এমন অপ্রত্যাশিত অপেক্ষা তাদের কাছে চরম ভোগান্তি ডেকে আনে। টয়লেট থেকে শুরু করে নাস্তা খাওয়ার মতো কোন সুযোগ নেই বিমানবন্দরে। দর্শনার্থীদের মধ্যে নারী ও শিশুদের অবস্থা আরও নাজুক। স্বজনদের অর্ভ্যথনা জানাতে এসে অনাকাক্সিক্ষত বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। এ ধরনের ভোগান্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমানের একজন মহাব্যব্স্থাপক বলেন, আবহাওয়ায় কারোর কোন হাত থাকেনা। এট বৈশ্বিক। তারপরও আমরা বিমানের পক্ষ থেকে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি কমানোর কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। ফ্লাইট রিসিডিউল করি। বেশি বিলম্ব হলে হোটেলে নিয়ে যাই, এয়ারপোর্টে নাস্তা খাওয়াই। সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। প্রতিবছরই আমরা এটা করে থাকি।
×