সাবরিনা সুলতানা কেয়া। ঢাকাই সিনেমায় জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিং, বিজ্ঞাপনের অনেক কাজ করেছেন এই সুন্দরী। অর্জন করেছেন সেরা অভিনেত্রী ও মডেলের পুরস্কার। সবশেষ ২০১৫ সালে এই অভিনেত্রীর সোশ্যাল ক্রাইম ও এ্যাকশন ধাঁচের সিনেমা ‘ব্ল্যাক মানি’তে রুপালি পর্দায় দেখা গেছে। সম্প্রতি কেয়া ‘ইয়েস ম্যাডাম’ নামে একটি নতুন সিনেমা এ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কেয়ার প্রথম সিনেমা ‘কঠিন বাস্তব’ থেকে বর্তমান হাল নিয়ে কথা হয় আনন্দকণ্ঠের, লিখেছেন-সব্যসাচী দাশ
বলা য়ায় একেবারে কৈশরবেলা থেকে শোবিজে কাজ করছে কেয়া। দেশের নন্দিত অভিনয় শিল্পী থেকে পরিচালক অনেকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আছে এই তার। নতুন শতাব্দীর প্রথম দশকের পর থেকে কেয়াকে তুলনামূলক কম দেখা গেছে। সিনেমায় সবশেষ ২০১৫ সালে সাইমন সাদিকের নায়িকা হয়ে ‘ব্ল্যাক মানি’তে অভিনয় করেছেন। এ বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে শুরু হচ্ছে কেয়ার নতুন সিনেমা ওম্যান এ্যাকশন ফিল্ম ইয়েস ম্যাডামের কাজ। এই সিনেমায় কেয়ার নায়ক শিপন মিত্র। শুরুতেই কেয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়, দুই হাজার ১৫ থেকে ১৯ এই সময়ের কেয়ার খবর? কেয়া, আসলে এই সময়টা আমি আমার পরিবার নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ২০১৫ সালে আমার বাবা ব্রেন স্টোক করে, ’১৭-তে মারা যান। বাবা মারা যাবার পর মা অসুস্থ হয়ে পরে। গত কয়েক দিন ধরে মাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। ১৫ থেকে ১৯ এরমধ্যে আমি যে একবারে কোন কাজ করিনি তা কিন্তু নয়। কাজ করেছি তবে বড় পর্দায় নয়। ‘ইয়েস ম্যাডাম’ কেন করছেন? গল্প এবং চরিত্র ভাল লেগেছে। আপনার চরিত্র কি? আমার চরিত্র মহিলা পুলিশ অফিসার। অনেক দিন বাদে এ্যাকশন ফিল্ম কোন্ প্রস্তুতি? প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি বলতে চাচ্ছি ফাইটের বিষয়টা? ফাইট তো অবশ্যই পারি। আপনি হয়ত জানবেন চলচ্চিত্রে আমার এন্ট্রি হয়েছিন ফাইট মাস্টার আরমানের প্রোডাশন থেকে। সুতরাং আরমানের নায়িকা হয়ে ফাইট জানব না তাকি হয়! আমার লাস্ট সিনেমা ব্ল্যাক মানিতেও আমি ফাইট করেছি। আশা করি এ নিয়ে কোন অসুবিধা হবে না। অনেক দিন বাদে এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্র কোন অভাব অনুভব করছেন? কেয়া, না কোন চ্যালেঞ্জ অনুভব করছি না। আর কেনই বা করব! পাশের দেশে যখন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, রানি মুখার্জি বা টাবুর মতো অভিনেত্রীরা এ ধরনের সাহসি চরিত্রে অভিনয় করছে, সেক্ষেত্রে আমি কোন অসুবিধা দেখছি না। আপনার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলুন? আমার ব্যক্তিগত জীবন! এই তো মাকে নিয়ে আছি সঙ্গে অন্যান্য ভাই বোনরা আছে এদের সঙ্গেই ভাল আছি। ব্যক্তিগত বলতে আপনার বিয়ে বা সংসারের খবর? বিয়ে বা সংসার এটা আমার করা হয়নি। শুনেছিলাম ২০০৮ বিয়ে করেছিলেন? কেয়া, না বিয়ে করা হয়নি, আমি আগেও সিঙ্গেল ছিলাম এখন সিঙ্গেল! বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সিনেমার যে অবস্থা তাতে কি মনে করেন আপনার অভিনীত সিনেমা কোন ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে পারবে? দেখেন সবকিছুই একটা বিশ্বাসের ওপর ভর করে চলে। আমি বা আমরা যারা সিনেমাটা নির্মাণের চেষ্টা করছি সকলে বর্তমান সময়টা বিবেচনা করছি, সব থেকে বড় কথা হলো যারা এই সিনেমার নীতি নির্ধারক তারা নিশ্চই ভাল করে ভেবেছে। বর্তমান চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা কিভাবে দেখছেন? কেয়া, অবস্থা যা দেখছি আশা করি এর ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। হলের পরিবেশের উন্নতি ঘটবে। এফডিসির ফ্লোরে ফ্লোরে সিনেমার শূটিং হবে আর আমরা যারা চলচ্চিত্রের মানুষ আছি সকলে সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করব। ‘ইয়েস ম্যাডাম’এ আর কে কে যুক্ত হয়েছে? যতদুর জানি অমিত হাসান ভাই, রেসির নাম শুনেছি আর আমার সহঅভিনেতা শিপন মিত্র, সে তো আগেই বলেছি। জীবন নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? আমি চলচ্চিত্রের মানুষ অভিনয়টা ভাল পারি, ভাল নাচতেও পারি পাশাপাশি মডেলিং, বিজ্ঞাপনে কাজ করি এই নিয়েই থাকতে চাই। আসছে কেয়ার চলচ্চিত্র ‘ইয়েস ম্যাডাম’ এ প্রথমে চিত্রনায়িকা পপির অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সিনেমার পরিচালক রাকিবুল আলম রাকিব কেয়াকে নির্বাচন করে। একটা লম্বা সময় পর এক সময়ের জনপ্রিয় কেয়া কতটা সফল হবেন তা তার নতুন সিনেমা দেখে দর্শক রায় দেবেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: