ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২১৬৬ পদে নিয়োগের জন্য ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

 ২১৬৬ পদে নিয়োগের জন্য ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। এ বিসিএসে মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে এই বিসিএসের জন্য আবেদন শুরু হবে। ৪ জানুয়ারির মধ্যে আগ্রহী প্রার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীর বয়স ১ নবেম্বর থেকে গণনা করা হবে। এই বিসিএসে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ দেয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯০৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। বিসিএস শিক্ষায় ৮৯২ প্রভাষক, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে ১০ প্রভাষক নেয়া হবে। শিক্ষার পর বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। পুলিশে ১০০, বিসিএস স্বাস্থ্যতে সহকারী সার্জন পদে ১১০ ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০ জনকে নেয়া হবে। এছাড়া পররাষ্ট্রে ২৫, আনসারে ২৩, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ ও সহকারী নিবন্ধক ৮ জন নেয়া হবে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ৩ জন নেয়া হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা পদে ২২, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) পদে ১১, সহকারী বার্তানিয়ন্ত্রক পদে ৫, সহকারী বেতার প্রকৌশলী পদে ৯, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী পদে ৩৬, সহকারী বন সংরক্ষক পদে ২০ জন। সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল পদে ২, বিসিএস মৎস্যে ১৫, পশুসম্পদে ৭৬, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক ৬ ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) ১৫ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ করা হবে। এদিকে সরকার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের জন্য পিএসসিকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিএসসির এক কর্মকর্তা রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি পিএসসি হাতে পেয়েছে। এখন পিএসসি এটি নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার মনে করছে, এটি বাস্তবায়ন হলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের জন্য কোন মন্ত্রণালয়কে আর নিয়োগের ঝামেলা পোহাতে হবে না। শুধু জনবল নিয়োগের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় চাহিদাপত্র দেবে। চাহিদা অনুসারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএসসি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। তবে এই উদ্যোগের ফলে সঙ্কটও তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে পিএসসির কাজের চাপ যেমন বাড়বে তেমনি কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করাও চ্যালেঞ্জের মুখে পরবে। পিএসিসির স্বচ্ছ কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।
×