স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদত্যাগসহ নয় দফা দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করেছেন বেসরকারী আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা একইসঙ্গে অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন গঠনের অনুমতি এবং সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল কর্মকান্ড সাবলীল করার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিজের খেয়াল খুশি মতো পরিচালনা করছেন উপাচার্য। দাবি আদায়ে সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদী আন্দোলনের পর মঙ্গলবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত ভিসি-প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ নেই বেসরকারী আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর ভারপ্রাপ্ত বা অনিয়মিত ভিসি কর্তৃক স্বাক্ষরিত অকার্যকর মূল সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য প্রায় আড়াই হাজার গ্র্যাজুয়েটকে ডাকা হয়েছিল সমাবর্তনে। যেটি পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য ড. কাজী শরিফুল আলম ও তার চাটুকারদের জন্য আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতার জোরে অবৈধভাবে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে বসেছেন অধ্যাপক ড. কাজী শরিফুল আলম। উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদ দখল করেছেন তিনি। গত রোববার আমাদের সমাবর্তন হওয়ার কথা থাকলেও ভিসির কারণে শিক্ষামন্ত্রী তা বর্জন করেছেন। অবৈধ ভিসিকে সরাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুর থেকে আন্দোলন শুরু করি। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো এ আন্দোলন চলছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ধর্মঘট ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ধর্মঘটের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের রিডিং রুম, ক্যান্টিন, লাইব্রেরিসহ সব প্রশাসনিক দফতর বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মূল চত্বরে বসে ভিসিবিরোধী বিভিন্ন সেøাগান দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, বিভিন্ন সময় নামকরা ও চৌকষ শিক্ষকদের কোন কারণ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন উপাচার্য। এছাড়া সেমিস্টার ফি বাড়ানো হলেও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হ্সাান বলছিলেন, কাজী শরিফুল আলম ভিসি হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অকারণে সেমিস্টার ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে চাইলে ভিসি তা অনুমোদন দেন না। এই ভিসির জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দেয়া হয়। এসবের প্রতিবাদে তারা নয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: