ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গণধর্ষণের শিকার শার্শার সেই গৃহবধূকে আইনী সহায়তা দেবে বিএনপি

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 গণধর্ষণের শিকার  শার্শার সেই  গৃহবধূকে  আইনী সহায়তা  দেবে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের শার্শা উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার সেই গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়েছে নারী ও শিশু অধিকার রক্ষায় গঠিত বিএনপির কমিটি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল আলমকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন কমিটির নেতারা। আইনী সহায়তা দিতেও প্রস্তুত বিএনপি। সংগঠনের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম শুক্রবার গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান এবং এই সব কথা বলেন। এ সময় নিপুণ রায় বলেন, জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত না হলে কারও নিরাপত্তা থাকে না। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দলীয়করণ করায় কারও জীবনের মূল্য নেই। তাদের সহযোগিতায় মধ্যরাতে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমন অপকর্ম করার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বলেন, এর থেকে পরিত্রাণ পেতে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এই টিমে আরও ছিলেন সংগঠনের নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান, শার্শা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুর নাহার পান্না প্রমুখ। বিএনপির নেতৃবৃন্দ ওই গৃহবধূকে আর্থিক সহায়তা দেন এবং তাকে আইনী সহযোগিতা করার পূর্ণ আশ্বাস দেন। তারা বলেন, এই জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত এসআই খাইরুলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে নারীর অধিকার রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে যশোরের ওই গৃহবধূ নিজের ঘরেই গণধর্ষণের শিকার হন। তার অভিযোগ, এসআই খায়রুলসহ চারজন ওই রাতে তার কাছে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে দেয়া ফেনসিডিলের মামলা ৫৪ ধারায় দেখিয়ে হালকা করে দেবেন বলে তারা জানান। ফেনসিডিল মামলায় কারাগারে থাকা তার স্বামীকে কীভাবে ৫৪ ধারায় দেবেন- এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। একপর্যায়ে এসআই খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর খায়রুল ও কামরুল তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পর দিন সকালে ওই গৃহবধূ যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। বৃহস্পতিবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনে গণধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ধর্ষণকারী কারা ছিলেন তা ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ জন্য ডিএনএ নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ঢাকার পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
×