ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্চ আদালতে তারেকের সর্বোচ্চ সাজা চাইবে আওয়ামী লীগ ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ২২ আগস্ট ২০১৯

উচ্চ আদালতে তারেকের সর্বোচ্চ সাজা চাইবে আওয়ামী লীগ ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমানের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন নিয়ে আওয়ামী লীগ উচ্চ আদালতে যাবে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপীল করার সুযোগ আমাদের আছে। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, একুশে আগস্ট হত্যাকা-ের যেমন বিচার হয়েছে, ঠিক তেমনই এ হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানেরও সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দীতে উল্লেখ আছে তারেক রহমানের নির্দেশ মেনেই তারা সেদিন অপারেশন চালিয়েছিল। কাজেই এই হত্যাকা-ের বিচার হতে হলে, এই হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তারেক রহমানের বিচার হওয়া উচিত। ওবায়দুল কাদের বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মূল টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তিনি বেঁচে আছেন বলেই ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে, ২১ আগস্ট হত্যাকা-েরও বিচার হবে বাংলার মাটিতে। বাংলার মানুষ এর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আজকের দিনে আমাদের শপথ রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও সম্প্রদায়িকতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মোকাবেলা করব। বাংলার মাটি থেকে হত্যা-সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নির্মূল করতে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্টের হত্যাকা- একই সূত্রে গাথা। একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আমরা সেভাবেই বিষয়টিকে দেখি। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকারী দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে যে কর্মসম্পর্ক থাকা দরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে সেটা চিরদিনের জন্য শেষ করে দিয়েছে বিএনপি। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বিএনপি বাংলাদেশে বিভেদের রাজনীতির যে দেয়াল তুলেছে, তা অতিক্রম করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে গণভবনে আলোচনা বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই সময় খালেদা জিয়া কি ব্যবহার করেছিল সেটা দেশের মানুষ জানে। খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর শেখ হাসিনা পুত্রহারা মাকে সান্ত¡না দিতে তাঁর বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংলাপের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি।
×